নানারকম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত ১৬ নং কাজুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফকির।
মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার ১৬ নং কাজুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফকিরের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ভূয়া জাল জন্ম সনদ প্রদান, মহিলা সদস্যের সাথে অসদাচরণ ও নিয়মিত পরিষদে না আসাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উক্ত চেয়ারম্যান নিয়মিত পরিষদে আসেন না। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্ট এ চাকরি করেন। সে কারণে তিনি সপ্তাহের বন্ধের দুদিন শুক্র ও শনিবার পরিষদে আসেন।
এ কারনে ইউনিয়নবাসী পরিষদ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চেয়ারম্যান মাসিক মিটিং নিয়মিত না করে বন্ধের দিনে করে ব্যাকডেটে স্বাক্ষর করেন এবং সকল সদস্যদের স্বাক্ষর নেন। এ বিষয়ে মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম প্রতিবাদ করায় তাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়।
জন্ম সনদ জালিয়াতির বিরুদ্ধে মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৯৪৭/২৩ তারিখ ২১/৮/২৩। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামত পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হামলা মামলা করে হেনস্তা করা হয়। আমি প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে তার ভাতিজাকে দিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলা করিয়েছেন।
এলাকার ইব্রাহিম শেখ ও হেমায়েত উদ্দিনের অভিযোগ থেকে জানা যায় ৫৫৫০০০/ টাকার গ্রন্থাগারের বই কেনার কাজ মাত্র একটা রেক কিনে বাকি টাকা ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
অত্র ইউনিয়নের লিটন সরদারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় কাজুলিয়া তৈয়াবুর সরদারের বাড়ি জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৪৭০০০ টাকা বরাদ্দ এনে আত্মসাত করছেন।
আসলে এ নামে কোন মসজিদই নাই। তিনি সড়ক নির্মানের ১৫০০০০ টাকা সড়ক নির্মান না করে আত্মসাত করছেন। মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম দুঃখ করে বলেন আমি মহিলা আওয়ামী লীগের কাজুলিয়া ইউনিয়নের সভাপতি অথচ দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমারা এভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।
তিনি আরো জানান তার অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর উপজেলা বিআরডিবি অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত করিয়াছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কাজুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফকিরের সাথে গণমাধ্যম প্রতিনিধি কথা বললে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে ।
মহিলা সদস্য মর্জিনা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করছেন তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে। তার সাথে আমার বা আমার লোকেদের কোন ঘটনাই ঘটেনি। জাল ভূয়া জন্ম সনদের বিষয়ে তিনি বলেন এটা আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতেই প্রমান হবে সত্য মিথ্যা। আমি এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।