ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ প্যানেলের নুরুল হক নুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে ২৫তম ভিপি হিসেবে ডাকসুর গৌরবমাখা ইতিহাসের অংশ হলেন তিনি। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে জয় পেয়েছেন গোলাম রাব্বানী এবং এজিএস হিসেবে জয় পেয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। আর তারা দুইজনই ছাত্রলীগের ব্যানারে নির্বাচন করেন।
সোমবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল নির্বাচন বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) তার নিজের ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাস তিনি লিখেছেন, ‘কুয়েত মৈত্রী হলের নির্বাচনের ফলাফল ভালো করে লক্ষ্য করুন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ব্যালট ভরা বাক্স উদ্ধারের পর ছাত্রীদের তুমুল প্রতিবাদে ফেটে পড়লে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দিতে হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপির কোন সুযোগ ছিল না সেখানে। ফলাফল? ১৩টির সব আসনে পরাজিত ছাত্রলীগ।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে ডাকসু ও বাকী সব হলের ফলাফল হয়তো তাই হতো। ডাকসুতে শুধু নুর আর আখতার না, জিততো কোটা আন্দালনের আরো অনেকে। বিভিন্ন আলামত দেখে এটা মনে হয় যে কোটার অনেককে কারচুপি করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নুর আর আখতারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবধান এতো বিশাল ছিল যে কারচুপি করেও তাদের হারানো যায়নি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে নুরের কি ডাকসু ভিপি পদ গ্রহণ করা উচিত? আমার মতে কোটা আন্দোলনের নেতারা সবাই যদি রাজি থাকে তাহলে তার ডাকসু ভিপির পদ গ্রহণ করা উচিত। ডাকসু ভিপি হিসেবেই হয়তো ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরো বেগবান করা সম্ভব। তবে নুরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোটা আন্দোলনের নেতাদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে। বাম বা ছাত্রদলের মতামত এখানে গুরুত্বপূর্ণ হতো যদি তারা কোটার নেতাদের সাথে একসাথে নির্বাচন করতো। তারা এটি করেনি।
নুরের মধ্যে আমি দেখি তরুণ বয়েসের বঙ্গবন্ধুর ছায়া। সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনকারীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু কোনভাবেই নেই।’