নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি অপো এআই সেন্টার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এই সেন্টারের লক্ষ্য হলো এআই ও এর প্রয়োগের পর্যবেক্ষণ ও বিকাশের মাধ্যমে অপোর এআই সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য বৃহৎ পরিসরে এআই ভিত্তিক পণ্য ও ফিচারের উপর গবেষণা করা। এর মাধ্যমে অপো ব্যবহারকারীদেরকে এআইয়ের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হবে।
অপো ঘোষণা করেছে যে, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে অপো রেনো ১১ সিরিজটিতে উদ্ভাবনী অপো এআই ইরেজার ফাংশনসহ বিভিন্ন উন্নত জেনারেটিভ এআইয়ের সুবিধা যোগ করা হবে। এই অগ্রগতিগুলি এআইয়ের ক্ষেত্রে অপোর অগ্রগামী ভূমিকা ও বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের জন্য এআইয়ের ব্যবহার সহজ করতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।
“ফিচার ফোন এবং স্মার্টফোনের পর পরবর্তী প্রজন্মের এআই স্মার্টফোনগুলি মোবাইল ফোন শিল্পের তৃতীয় প্রধান রূপান্তরকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এআই স্মার্টফোনের যুগে মোবাইল ফোন শিল্প ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা – উভয়ই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সাক্ষী হবে,” বলেছেন অপোর চিফ প্রোডাক্ট অফিসার পিট লাউ। “অপো এআই স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে এবং এর উন্নয়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা অন্যান্য অংশীদারদের সাথে যৌথভাবে মোবাইল ফোন শিল্পের উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং মোবাইল ফোনের বুদ্ধিবৃত্তিক অভিজ্ঞতাকে পুনর্নির্মাণের জন্য কাজ করতে আগ্রহী।
অপো এআই স্মার্টফোনের চারটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেছে
এআই স্মার্টফোন যুগের প্রেক্ষাপটে অপো দূরদর্শী গবেষণা এবং লার্জ মডেল ও জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞানের ভিত্তিতে এআই স্মার্টফোনের চারটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের সংজ্ঞা দিয়েছে:
এআইয়ের যুগে জেনারেটিভ এআইয়ের কম্পিউটেশনের চাহিদা মেটাতে এআই স্মার্টফোনগুলিকে অবশ্যই কম্পিউটিং রিসোর্সগুলিকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
এআই স্মার্টফোনগুলিকে সেন্সরের মাধ্যমে সময়মতো ব্যবহারকারী ও পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত জটিল তথ্য বুঝে বাস্তব বিশ্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
এআই স্মার্টফোনগুলির উন্নত সেলফ লার্নিংয়ের ক্ষমতাও থাকতে হবে। এআই স্মার্টফোনগুলির বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষমতা থাকবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ক্রমাগত অনুপ্রেরণা ও জ্ঞান অর্জনে সহায়তা পাবে।
এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলি দিয়ে এআই স্মার্টফোন মোবাইল শিল্পে বিপ্লব ঘটাবে। বিভিন্ন এআইভিত্তিক সেবা ইন্টেলিজেন্ট এজেন্টে একীভূত করা হবে, যা ব্যবহারকারীদেরকে তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা আরও ভালভাবে পূরণ করতে সক্ষম করবে৷ নতুন এই ইকোসিস্টেম বর্তমানের অ্যাপ ইকোসিস্টেমকেও আরও উন্নত করবে। অপো এই নতুন ইকোসিস্টেমকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন এআই সুবিধার পাশাপাশি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মের সুবিধাও প্রদান করবে।
রেনো সিরিজে থাকবে জেনারেটিভ এআই ফিচার
অপো এর নিজস্ব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল অ্যানডেসজিপিটি প্রকাশ করেছে। এতে রয়েছে ১৮০ বিলিয়ন প্যারামিটার । তিনটি প্রধান প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যের – ডায়লগ এনহ্যান্সমেন্ট, পার্সোনালাইজেশন ও ক্লাউড-ডিভাইস কোলাবরেশন – উপর নির্ভরশীল এই মডেলটির সক্ষমতার মূল লক্ষ্য হলো – নলেজ, মেমোরি, টুলস ও ক্রিয়েশন। নতুন অপো ফাইন্ড এক্স৭ সিরিজে চালু হওয়ার পর অপোর জেনারেটিভ এআইয়ের সুবিধা যেমন ছবিতে ইন্টেলিজেন্ট অবজেক্ট রিমুভাল ও ফোন কনভারসেশন সামারি প্রযুক্তি খাতে ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
স্মার্টফোন ও এর সংশ্লিষ্ট ইকোসিস্টেম সম্পূর্ণরূপে এআইয়ের মাধ্যমে রূপান্তরিত হতে যাওয়ার এই সময়ে অপো স্মার্ট ডিভাইসে উন্নত এআই প্রযুক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপোর ব্র্যান্ড মিশন “মানবতার জন্য প্রযুক্তি, বিশ্বের জন্য সহানুভূতি”-এর সাথে সঙ্গতি রেখে অপো এর নিজস্ব জেনারেটিভ এআইয়ের সক্ষমতা আরও বেশি পণ্য ও বাজারে প্রসারের পরিকল্পনা করেছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে অপো বিশ্বব্যাপী রেনো ১১ সিরিজে অপো এআই ইরেজার এবং আরও অনেক জেনারেটিভ এআই ফিচার চালু করবে। অপো এআই সেন্টার থেকে ক্রমাগত উদ্ভাবনের ফলে অপোর
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্মার্টফোনে আরও আকর্ষণীয় এআই ফিচার থাকবে।