নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের ব্যবসায়ী মো: শাহজাহানকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন এর যুগ্ম সম্পাদক । জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার জামিরা গ্রামের আসের আলী মন্ডলের ছেলে মো: শাহজাহান ৷ তার বিরুদ্ধে ২ টি মিথ্যা মামলা দায়ের হওয়ায় সোমবার (৪ নভেম্বর) চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সি এন্ড এফ এর ব্যবসায়ীরা । সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবী জানান ব্যবসায়ীরা।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী সংগঠন । ১৯৯৪ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সি এন্ড এফ এর ব্যবসা শুরু করেন সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী মো: শাহজাহান । ব্যবসা শুরুর পর থেকে আংশিক কিছু ব্যবসায়ী তার সাথে শত্রুতা করতে থাকে। সিএনডিএফের নির্বাচনে এরপর নির্বাচনে কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন এর যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে তার দুরুত্ব সৃষ্টি হয়।
গত ২০২২ সালে ১৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ থানায় আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১৮৬০ পেনাল কোডের ১৪৩/৩৪১ /৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/ ৪২৭/৫০৬/ ১১৪ ধারায় মামলায় মো: শাহজানকে বিএনপির নেতা বানিয়ে ১৭ নাম্বার আসামী আসামী করা হয়। আবার ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা ও তারেক জিয়ার অর্থায়ন কারী হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে দাবী করে আশুলিয়া থানায় একটি ও উত্তরা থানায় গত ২৮ আগস্ট পরষ্পর যোগসাজশে গুলি করে হত্যার সহায়তা অপরাধ এনে ১৮৬০ পেনাল কোডের ৩০২/১০৯/৩৪ ধারা মামলার ১৩ নাম্বার আসামি করা হয় । এরপর থেকেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ৷ তবে আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতা বানিয়ে এবং বর্তমান সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ নেতা বানিয়ে মামলা হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে৷
এদিকে শামীম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, শাহজাহানের সাথে কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে দুরত্ব আছে৷ তারা এর আগে সিরাজগঞ্জে শাজাহানের নামে বিএনপির নেতা বানিয়ে মামলা করিয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই সরকারের আমলে তারাই আ’লীগ নেতা বানিয়ে আশুলিয়া ও উত্তরা থানায় মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দিয়েছে ৷ আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য জোর দাবী জানাই ।
তিনি আরো জানান, ঢাকা কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী সংগঠন। শাহজাহান সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ী তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারকারীরা এই পদটি ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে ।
এ দিকে বিমান বন্দর এলাকার বিএনপি নেতা জহুরুল জানান, শাহজাহান আওয়ামীলীগ আমলে একটি মিথ্যা মামলায় ফেসেছিল এটা আমরা শুনেছি। তবে এই সময়ে আবারো মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছে । অব্যাহতির দাবী জানাই।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান সাংবাদিকদের জানান, আমি সম্পূর্ণ নিরপরাধ । আমাদের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে । কিছু ব্যবসায়ী উঠে পড়ে লেগেছে আমার ক্ষতি করার জন্য।তিনি আরো বলেন, আমি যদি আওয়ামী লীগ করতাম তাহলে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার মধ্যে আমার নামে বিএনপির নেতা হিসেবে কিভাবে মামলা হলো ।
এখন আবার আওয়ামীলীগ নেতা বানিয়ে আশুলিয়া ও উত্তরা থানার মামলায় আমাকে আসামী করেছে । আর তা ছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমার ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে৷ আমি তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।