মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলায় বিল্লাল শেখ (৫০) নামে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের গাড়ি থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নড়াইল সদর উপজেলার শিংগাশোলপুর ইউনিয়নের গোবরা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছিনতাই হওয়া আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিল্লাল শেখ সদরের গোবরা এলাকার নওফেল শেখের ছেলে। সে চারটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাজেদুল ইসলাম মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়,শনিবার বিকেলে সদর থানা পুলিশের টহল দল গোবরা বাজার এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এসময় আসামি বিল্লাল শেখকে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামিকে থানায় নেয়ার পথে গোবরা এলাকার নিউটনের নির্দেশে মোটরসাইকেল দিয়ে পুলিশের গাড়ির সামনে ব্যারিকেড দেন আসামির ছেলে জুয়েল,ভাইয়ের ছেলে শাকিল। এসময় আসামি বিল্লালের স্বজন রাজীব মোল্যার নেতৃত্বে ১। মোঃ নিউটন গাজী পিতাঃ আবুল হোসেন গাজী,২। মোঃ মিসর মোল্যা পিতাঃ মোঃ বাবু মোল্যা,৩। মোঃ লিটন শেখ পিতাঃ মোঃ আবুল শেখ,৪। মোঃ বাশারুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম,৫। মোঃ বাবু মোল্যা পিতাঃ আঃ হামিদ মোল্যা,৬। মোঃ রানামুল ইসলাম শহীদুল পিতাঃ মৃত আকবর হোসেন,৭। মোঃ রিয়াজ উদ্দীন পিতাঃ মোঃ আজিজুর রহমান তোকাম,৮। মোঃ ডালিম বিশ্বাস পিতাঃ মৃত তবিবর রহমান,৯। মোঃ পারভেজ মোল্যা পিতাঃ মোঃ নুর মিয়া,১০। মোঃ ওলিয়ার রহমান পিতাঃ মৃত রতন আলী বিশ্বাস,১১। মোঃ ওয়াজেদ আলী তিতু পিতাঃ মৃত সৈয়দ জাফর আলী,১২। মোঃ শাকিল শেখ পিতাঃ মোঃ ফসিয়ার রহমান শেখ,১৩। মোঃ ইয়াছিন সরদার পিতাঃ মৃত ইউনূস সরদার,১৪। মোঃ রাজীব মোল্যা পিতাঃ মোঃ কুবাদ মোল্যা সর্বসাং গোবরা। সহ প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আসামি বিল্লালকে ২০১৮ সালের একটি এনআইঅ্যাক্ট (অর্থ জারি) মামলায় ২ মাসের সাজাসহ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ মামলাসহ মোট চারটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় আসামি বিল্লালের বিরুদ্ধে। একটি হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে পলাতক আসামি বিল্লালের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিউউনের কাছে গণমাধ্যকর্মি’রা জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। কোনো অন্যায়কারী আমার লোক হতে পারে না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসালামের সঙ্গে রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা আটকের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে। ঊর্ধ্বতন স্যারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা মামলার বিষয়ে আগাব বলেও জানান।