নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : সিলেট সীমান্ত নদী জাদুকাটায় খনিজ বালি চুরিকালে ট্রলার বোঝাই চুরির বালি সহ দুই চোরকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ নৌ পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল, সুনামগঞ্জের বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও গ্রামের এমিল মিয়ার ছেলে সাব্বির একই গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে ছয়ফুল।
শনিবার গ্রেফতারকৃদের তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করে সরকারি কাজে বাঁধা দান ও নদীর পাড় কেটে বালি চুরির ঘটনায় নৌ পুলিশের ওসি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাজার সুত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের টুকের বাজার নৌ পুলিশ থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন খানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স শুক্রবার মধ্যরাত পরবর্তী ৩টার দিকে জাদুকাটা নদীতে অভিযানে নামেন।
রাতের আঁধারে জাদুকাটা নদীর বালি মহাল ইজারা বহির্ভুত নদীর পুর্বতীরের মোদেরগাঁও গ্রামের পাড় কেটে একদল সংঘবদ্ধ খনিজ বালি চোর ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে বালি লোড করছিলো। নৌ পুলিমশের অভিযানে চুরির বালি বোঝাই ইঞ্জিন চালিত ট্রলার সহ সাব্বির ও ছয়ফুলকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তাদের অপর দুই সহযোগি কৌশলে পালিয়ে যায়।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, গত কয়েকদিন ধরেই ফের জাদুকাটা নদীর তীরবর্তী মোদেরগাঁও, বিন্নাকুলি, ঘাগড়া, ঘাগটিয়ার বড়টেক এলাকায় নদীন পাড় কাটা ও সেইভ মেশিন চালিয়ে কোটি কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ খনিজ বালি চুরি করার পূরনো প্রবণতা শুরু হয়েছে পুরোমাত্রায়।
এসব বিষয়ে ভোক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ বসতির সাধারন মানুষজন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), থানার ওসি, বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর দায়িত্বশীল অফিসারগণকে নদীর পাড় কেটে বালি চুরি, দুই থেকে আড়াইশ পরিবেশধ্বংসী সেইভ মেশিনে কয়েক কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ খনিজ বালি চুরির ঘটনা মুঠোফোনে তাৎক্ষণিকসময়ে অবহিত করলে দায়িত্বশীলরা বিরক্তবোধ করেন।
শনিবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের নিকট জাদুকাটা নদীর পাড় কাটা ও পরিবেশধ্বংসী সেইভ মেশিনে খনিজ বালি চুরির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘কই আমরা গিয়ে তো কিছু পাইনা,।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন নৌ পুলিশ কতৃক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নদীর পাড় কাটা বা সেইভ মেশিনে জাদুকাটা নদীর বালি চুরির ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা