আশা এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ নানা অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি :  আশা এনজিও এর কুমিল্লা জেলার লাকসাম সদর-২ ব্যাঞ্চ এর সহকারী ব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন সবুজ এর বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ নানান অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোয়াজ্জেম হোসেন সবুজ গ্রাহকদের সঞ্চয় বই আটক রেখে অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করছেন।


বিজ্ঞাপন

সবুজ মিয়া কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা ও কুমিল্লা জেলা যুবলীগের নেতা হিসেবে সর্ব মহলে সুপরিচিত হওয়াতে সকল ক্ষেত্রে পেশিশক্তির প্রভাব বিস্তার করছেন।


বিজ্ঞাপন

গরীব, ক্ষুদ্র, মাজারি স্বল্পআয়ের পুঁজি হিসেবে লাকসাম সদরের বিভিন্ন নিম্ন, মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে এনজিও আশা প্রতিষ্ঠানের ঋণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গরীব অসহায় কৃষক মধ্যবিত্ত পরিবারের গ্রাম গুলোতে সহজসরল মহিলা ও পুরুষদের কাছে নির্দিষ্ট ফি আদায় করে লোন অনুমোদন দেন।

এসব টাকা দিতে অপারগতা জানালেই আর লোন অনুমোদন দেন না। কোনো গ্রাহকেরা যদি রেগুলার নিয়মতান্ত্রিক কিস্তি পরিশোধ হলেও তাকে তার নির্দিষ্ট ফি না দেওয়া পর্যন্ত ঋণ দিতে গড়িমসি করেন বলে একাধিক এনজিওর আশার গ্রাহকেরা জানান।

কোনো গ্রাহক যদি অভিযোগ করবে বলে জানালে এনজিও কর্মী সবুজ মিয়া গ্রাহকদের হয়রানি করাসহ মোবাইলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। মোয়াজ্জেম হোসেন সবুজের এমন কর্মকাণ্ডের লাকসাম সদর-২ ব্যাঞ্চে দিন দিন গ্রাহক কমতে শুরু করছে। দীর্ঘ সময়ে চাকুরির সুবাদে সবুজ মিয়া গ্রাহকদের কাছে থেকে এমন উৎকোচ আদায় করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

ক্রয় করেছেন এলাকাতে কৃষি জমি সহ বানিয়েছেন বিশাল রাজকীয় বাড়ী। গত কয়েকদিন পূর্বেও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী বাজারের পাশে ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করছেন বিট প্রকৃতি জমি। সেখানেও আশ্রয় নিয়েছেন দুর্নীতির, যে বিট প্রকৃতি জমি ক্রয় করার রেজিস্ট্রার দলিলে কম মূল্য দেখিয়ে দিয়েছেন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি।

স্থানীয় কয়েকজন ও এনজিও আশা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বলেন ভাইয়েরা আপনাদের পায়ে ধরি আমাদের নাম প্রকাশ করবেননা নয়তো আমাদের লোন অনুমোদন দিবেনা। সবুজ স্যারকে দশ হাজার টাকা লোন নিলে দিতে হয় ৫০০ টাকা আর এক লক্ষ টাকা লোন অনুমোদন নিতে হলে সবুজ সাবকে দিতে হয় ৫.০০০ হাজার টাকা। আমরা খুবই গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ তাই অসহায় হয়ে আমরা এনজিও আশায় ঋণ নিতে আসি আর সবুজ সাহেব সে দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমাদের টাকায় চলাফেরায় চলেন অভিজাত গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

এসবের অভিযোগ করতে গেলেও আসে আমাদের উপর নির্যাতন নিপিড়ন হামলা হুমকি ধামকি মোকাবিলা করতে হয়। মোয়াজ্জেম হোসেন সবুজ স্যারের রয়েছে এখানে শক্তিশালী বাহিনী আর সে বাহিনী দ্বারা চলে দমন-পীড়ন। তিনি জেলার যুবলীগের নেতা হওয়াতে তার ভয়ে কেউ কাউ কোথাও মুখ খোলার সাহস পায় না।

এব্যাপারে লাকসাম সদর -২ ব্যাঞ্চ এর শাখা ব্যবস্থাপক মাসুদ আলম বলেন, সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, তবে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

কুমিল্লা জেলার লাকসাম সদর উপজেলার মানবাধিকারকর্মী কেএম আলী আকবর বলেন, আশা এনজিও কর্মী কিভাবে ৭৫ লক্ষ দিয়ে ভূমি ক্রয় করে? তাও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে, দুদক অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।

লাকসাম সদর-২ ব্রাঞ্চ সহকারী ব্যবস্হাপক মোয়াজ্জেম হোসেন সবুজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মাঠকর্মী নয় বিধায় আমার কোনো সঞ্চয় বই নিয়ে অবৈধ টাকা আদায়ের সুযোগ নেই, জমি ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জমি ক্রয়ের বিষয় নিয়ে জানান, আমি জমি ক্রয়ের কোনো রাজস্ব ফাঁকি দেইনি, তিনি তার স্ত্রীকে মোবাইল ধরিয়ে দিয়ে বলেন আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, তার স্ত্রী বলেন এসব সাংবাদিক আমি গণায় ধরিনা! আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রলীগের একজন সফল কর্মী, আমার অনেক ক্ষমতা ছিল দল যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনও দুর্নীতি করিনি। আরো বলেন, জমি শুধু এটা নয় দু’ সপ্তাহ আগেও আরও জমি ক্রয় করেছি তা আমার বোনের কাছে থেকে। এতো টাকার উৎস জানতে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন আমিও এনজিওতে চাকরি করি মেরি স্টপ ক্লিনিকে দুজনের আয়ের উৎস থেকে ক্রয় করেছি। আপনাদের এসব নিউজে কিছু যায় আসে না, আমি এখনই থানা ওসির সঙ্গে কথা বলে যারা আমার বিরুদ্ধে বা আমার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের ব্যবস্হা নিবো বলে দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেন যারা অভিযোগ করেছে আর কোন রিপোর্টার নিউজ পাঠিয়েছে আমি বুঝতে পারছি! এদের দেখে নেওয়ার কোনো ব্যাপার নয়! বিধায় আমি এসব ভয় করিনা। আমার নিকটাত্মীয় বিএনপির বড় নেতা এবং ঢাকায় আমার অনেক বড় বড় নেতারা রয়েছে, আপনি সেটাও জেনে নিন বর্তমান সমন্নয়ক ও ঢাকায় নাছিমা ও দুলাল নামে বড় সাংবাদিকও রয়েছে আমার ও আমার স্বামীর নিকটাত্মীয়।

স্থানীয় সচেতন মহলের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তারা জানান, এই মোয়াজ্জেম হোসেন সবুজ ও তার স্ত্রী অত্যাচার নির্যাতন নিপিড়ন হামলা মামলা হুমকি ধামকি মোকাবিলা করেই আমরা লাকসাম সদরে বসবাস করে আসছি। কই দেশ নতুন করে সবাই বলে স্বাধীন হয়েছে তো আমরা এখনো সবুজ ও তার স্ত্রীর কাছে থেকে স্বাধীন হতে পারিনি, আমাদের প্রত্যাশা এনজিও আশা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ সবুজ মিয়া বিষয় দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন ও দেশবাসীর কাছে যুবলীগ নেতা সবুজ মিয়া ও তার স্ত্রীর হাত থেকে রক্ষা করাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলাকার জনসাধারণের মুক্তির দাবী জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *