বনানীর ওয়্যারলেস গেট হক বাজারের পাশে মাদক ব্যবসায়ী আবির (২৭)। সন্ত্রাসী টুন্ডা ইউসুফের ছোট ভাই সে। তারা দুই ভাই পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। এর আড়ালে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে বেড়ায়। এছাড়া তারা মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে। তাদের কথা যে না শুনে তাকে হতে হয় বিভিন্ন মামলার আসামি। তাদের সাথে যার সখ্যতা ভালো সেই এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারে। তারা পাইকারি দামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে মাদক সরবরাহ করে।
এদিকে আরেক মাদক (ইয়াবা) ব্যবসায়ী ওয়্যারলেছ গেটে ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় সংলগ্ন বুলুর বাড়ীর গাড়ি চালক কাশেম (৩৫)। সে কৌশলে ড্রাইভারের পেশার আড়ালে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে কড়াইল বস্তিসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করেন। প্রভাবশালী মালিকের ছত্রছায়ায় থাকার কারনে এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে কাশেম। জানা গেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও কাশেম দীর্ঘদিন ধরে অধরা। খুব কৌশলে হোম ডেলিভারিতে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেলতলা বস্তির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাগর (২৮) ও তার মা (৫৫)। থানায় নিয়মিত ভাতা দিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ব্যবসা করছে। সাগরের মা ঘরে বসে মাদক ব্যবসা করলেও সাগর ফোন করলে গাঁজা হোম ডেলিভারি করে এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। সাগরের মাকে প্রায় সময় দেখা যায় থানার টহলরত ডিউটি গাড়িতে থাকা পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন সদস্যদের সাথে আলাপচারিতার ফাঁকে ভাতা পৌঁছে দেয়। সাগর এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার হলেও অল্প দিনে জামিনে বেরিয়ে এসে ফের মাদক ব্যবসা করে তারা।
মহাখালী স্কুল রোড মধ্যপাড়ায় বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম রাজীব (৩৮) ওরফে বোচা রাজীব। প্রতিবন্ধী হলেও সে মুখোশধারী ভয়ংকর অপরাধী। দীর্ঘদিন ধরে চলছে তার অবাধ ইয়াবা ব্যবসা। সে পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে পুলিশে ভুল তথ্য দিয়ে ধরিয়ে দেয়।
বনানীতে মাদক ব্যবসায় জড়িত আরও যাদের নাম জানা গেছে তারা হলো- মহসিন, আলাউদ্দিন, বাবলু, রুবেল, মফিজ, কুদ্দুছ, রিপন, শাহীন, হারুন ও ফর্মা শহীদ। এলাকাবাসীর দাবি, অচিরেই মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে বনানীকে মাদক মুক্ত করা হোক।