শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : নড়াইল থেকে শরণখোলায় প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে রাত্রি যাপন কালে অপ্রীতিকর অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়েন মফিজুল ইসলাম মফিজ (৫২)। পরে শরণখোলা থানা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ এপ্রিল রাত সাড়ে১১টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে প্রবাসী ইব্রাহিমের বাড়িতে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইব্রাহিম কয়েক বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন। তার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০)তার ছেলেমেয়ে নিয়ে গ্রামে বসবাস করেন।

২ বছর আগে শরণখোলা থানায় কর্মরত সাবেক পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম ওরফে মফিজের সাথে প্রবাসী স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেত্রী পারভিন বেগমের সাথে পরিচয় ঘটে। এই সূত্র ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মফিজ।

সে সময় এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও দলের প্রভাব খাটিয়ে পারভিন বেগম এলাকাবাসীর মুখ বন্ধ করে রাখে।অন্যদিকে মফিজও শরণখোলা থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন যার জন্য ভয়ে অনেকে কিছু বলতে সাহস পাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পারভীনের এক প্রতিবেশী জানায়, এসআই মফিজ ওই সময় পারভীনের বাড়িতে প্রায়ই রাত কাটাতেন।
এরই সূত্র ধরে শরণখোলা থেকে বদলি হওয়ার পরেও পদোন্নতি পেয়ে নড়াইল সদর জেলা পুলিশ সার্কেল অফিসের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত থেকে ছুটি নিয়ে গত ২০ এপ্রিল শরণখোলা আসেন এবং তার পরকিয়া প্রবাসীর স্ত্রী পারভীনে বাড়িতে যায়। সেখানে রাত ১২ টার দিকে অপ্রতিকর অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়েন ইন্সপেক্টর মফিজ। পরে শরণখোলা পুলিশেকে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে ওই রাতে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর মফিজুল ইসলাম মফিজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,পারভীন তার পূর্ব পরিচিতা তার ছেলে অসুস্থ তাই শরণখোলা এসে তিনি তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এ ছাড়া আর কিছুই নয়।
তবে এ বিষয়ে পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়ে এড়িয়ে যান।
শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, গ্রামবাসী তাকে আটক করে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি বাগেরহাট পুলিশ সুপার ও নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।