১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি

জাতীয়

মুগ্ধ খন্দকার : একটি দেশের মূল প্রাণ হলো দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতি, সমাজ বিশ্লেষণ। আর এসব সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারেন একমাত্র দেশের শিক্ষক, অধ্যাপক, শিল্প চর্চা ও সাহিত্য সংস্কৃতি মনা, বুদ্ধিজীবী, বিশ্লেষক, সাংবাদিক সমাজ। আর দোশররা খুজে নিয়েছিল সেই পথকে যে পথ হলো ৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী সমাজ ছিল পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসরদের বিশেষ টার্গেট এই দিন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ এর দিকে যখন পাকিস্তানিরা বুঝতে পেরেছিল পরাজয় নিশ্চিত তখন দেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা থেকে তারা বুদ্ধিজীবীদের একে একে হত্যা করে ফেলে।। ৭১ সালের ১০-১৪ ডিসেম্বর ওই দোসররা, নরপিশাচরা আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিল্পীজন, সাহিত্যিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বিশ্লেষকদেরকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যাদের নাম না নিলেই নয় অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোর্তিময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রাশীদুল হাসান, সাংবাদিক সেলিনা পারভিন, ডা. আলীম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আজহারুল হক এবং আরও অনেকে। সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি৷ বুদ্ধিজীবী হত্যা আমাদের দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি৷


বিজ্ঞাপন