রয়েছে দক্ষ জনবলের অভাব
বিশেষ প্রতিবেদক : চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আইনিভাবে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলেও দুদক জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী কাজ করতে পারে না। সোমবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদকের সদ্য বিদায়ী এই চেয়ারম্যান বলেন, “দুদক এখন নখ দন্তহীন নেই। আমরা সমাজে একটা বার্তা দিতে পেরেছি যে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।” ইকবাল মাহমুদ বলেন, “রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয় এমন কোনো ক্ষেত্রে আপস করিনি। দুদকের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে দক্ষ জনবল না থাকা। দুদকের কাজ নিয়ে জনগণের আকাঙ্খা যেমন দুদক সেভাবে কাজ করতে পারে না, যা সত্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।” তবে দুদক যথেষ্ট শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান এবং যতটুকু আইন রয়েছে, তার মধ্যে থেকেই দুদক অনেক কাজ করতে পারে। দুদকের ওপর সরকারের কোন চাপ নেই উল্লেখ করে বিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন, গত ৫ বছরে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনে দুদক সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কারো ক্ষমতা ও প্রভাবের কাছে দুদক নতি স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য যে, বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ ২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের জুন মাসে পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন ইকবাল মাহমুদ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সচিব করা হয়। এরপর ২০১২ সালে সরকার ‘সিনিয়র সচিব’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করলে আরও সাতজনের সঙ্গে ইকবাল মাহমুদও ওই পদ পান। সে সময় তিনি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব। ওই বছর নভেম্বরে তিনি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পান। তিনি দুদকের চতুর্থ চেয়ারম্যান।