নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উন্নতি, জনগণের জীবনমানের বিকাশ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে বলে জানিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মুজিব চিরন্তন প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ৬ষ্ঠ দিনে অংশগ্রহণ করে এ কথা বলেন নেপালের প্রেসিডেন্ট।
এসময় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ আর নেপালের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। নেপালের রাষ্ট্রপতি হিসেবে এই সুন্দর দেশে আমার প্রথম সফর। গত কয়েকবছরে বাংলাদেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করেছে, দারিদ্রতা কমিয়েছে। আমি বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আনন্দিত। নেপাল আর বাংলাদেশের খুব ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে, যোগাযোগ বাড়ছে। ভৌগলিক নিকটতা দুই দেশকে আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দিয়েছে। ৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই সম্পর্ক আরও ঘণিষ্ঠ হচ্ছে।
ভাণ্ডারি বলেন, ব্যবসা, শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা দিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার জারি রাখবো। দু দেশের অংশীদারিত্বে উন্নতি আসবে। দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমবে। আমরা মুক্ত বাণিজ্য সম্পর্কে আগ্রহী। আমরা আশা করবো, এই ব্যাপারে খুব দ্রুতই চুক্তি হবে। নেপালের জলবিদ্যুৎ আর বাংলাদেশের সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস। দুই দেশের এনার্জি ব্যবসারও সুযোগ রয়েছে। আমরা সম্পর্কের জাল বিস্তার করবো। আমরা চাই সৌয়দপুর আর বিরাটনগরের যোগাযোগ। এছাড়াও রেল উন্নয়নের ব্যাপারেও আগ্রহ আছে। রোহনপুরে রেলপথের মাধ্যমে যদি বাণিজ্য শুরু হয়, তবে আমরা আনন্দিত হবে। পর্যটনের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহায়তা ফলদায়ি হবে।
বিদ্যাদেবি ভাণ্ডারি বলেন, স্বাধীনতার পর অল্প সময়েই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধুকে সম্মানজনক উপাধিতে ভূষিত করেছিলো বলেও জানান সফররত নেপালি প্রেসিডেন্ট।