নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অস্তিত্বের উৎসমূল। আমাদের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপ্তি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের এ অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। রোববার (১৩ জুন) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতর কক্ষে বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো এ বছর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপকরণ সহায়তা ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। করোনা সংকটে খামারিদের উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস সংগ্রহ করে ভ্রাম্যমাণ ও অনলাইন পদ্ধতিতে বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
‘এসব কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশে ও দেশের বাইরে কাজের ব্যাপ্তি ও কার্য সম্পাদন বিবেচনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। আমরা এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এটি কেউ ব্যাহত করতে চাইলে কঠোর-কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু সালেহ এম বারী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের সভাপতি ডা. মো. ইমরান হোসেন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. খন্দকার মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি ডা. মো. আনিসুর রহমান ও মহাসচিব ডা. মো. আজিজুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।