শেখ হাসিনার হাত ধরে সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা

জাতীয়

বিশেষ প্রতিবেদক : শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন

এসময় রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চাপ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ। ফলে ফিরে আসে সংসদীয় গণতন্ত্র।


বিজ্ঞাপন

কিন্তু আওয়ামী লীগের ওপর দমন-পীড়ন থেমে থাকে না। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে তাকে লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করা হয়।

১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তার কামরা লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি ছোড়া হয়। তবুও মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে কখনও পিছপা হননি শেখ হাসিনা।

পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে বিএনপির একটি সাজানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে তিনি গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের মুখে ৩০ মার্চ তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হন।

এবং জুন মাসে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২১ বছর থমকে থাকার পর আবার চলতে শুরু হয় বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী হয়েই, দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত থাকা গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বণ্টনে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত করেন, ফলে কয়েক দশক ধরে চলমান চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমিত হয়।

১৯৯৮ সালের বন্যার সময় আওয়ামী লীগ সরকার দুই কোটি বন্যাদুর্গত মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য প্রদান করে বিশ্বের বুকে দুর্যোগ মোকাবিলার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো খাদ্যস্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলেন তিনি। কেটে যায় তলা বিহীন ঝুড়ির অপবাদ।

এরপর সরকারের মেয়াদ শেষে সুন্দরভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

কিন্তু ২০০০ সালে এক জনসভাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় কোটালিপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো শনাক্ত হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের জনসভায় এক ডজনের বেশি গ্রেনেড হামলা চালানো হয় তার ওপর। তাকে বাঁচাতে মানববুহ্য রচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো এই হামলায় প্রাণ হারান ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। আহত হন কমপক্ষে ৩০০ জন।