আওয়ামী লীগের সবুজবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস কোন নাটকের রিহার্সাল করছেন?

আজকের দেশ রিপোর্ট : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সবুজবাগ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস বললেন, নারী কে জড়িয়ে ধরা ভিডিও টা আসলে একটি নাটকের রিহার্সাল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে নারীকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন একজন। সেই নারী অনেক চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত তার কাছ থেকে ছাড়া পান।

এ ঘটনার একটি ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা যায়, নারীকে জড়িয়ে ধরা ওই মানুষটি হলেন চিত্তরঞ্জন দাস।
তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
‘আপত্তিকর’ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি গণমাধ্যম কে নিশ্চিত করেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. মুরাদুল ইসলাম।
ওই ঘটনার বিষয়ে চিত্তরঞ্জন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি কোনো আপত্তিকর ভিডিও নয়।
আমি ওই নারীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সাল করেছি। এটি মূলত একটি নাটকের সংলাপ। আমার এলাকার বরদেশ্বরী মন্দিরে চিত্রায়িত। ভিডিওটি খেয়াল করলেই বুঝবেন। ’
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে ওই নারী সোফায় বসে আছেন। সেখানে এসে হাজির হন চিত্তরঞ্জন দাস।
তিনি ওই নারীকে কিছু একটা বলেন। এরপর তাকে সোফা থেকে উঠে আসার জন্য হাত দিয়ে ইশারা করেন। প্রথমে ওই নারী উঠতে চাচ্ছিলেন না।
পরে তিনি উঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলর তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় ওই নারী তার কাছ থেকে ছাড়া পেতে চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পর শেষে পর্যন্ত তিনি ছাড়া পান।
এ বিষয়ে সবুজবাগ থানার ওসি গণমাধ্যমকে জানান, ফেসবুকে একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।