নিজস্ব প্রতিবেদক : বাদী হয়ে মামলা করেছিস- আবার প্রেস ক্লাবেও প্রবেশ করো। তোরতো সাহস বেড়ে গেছে। ফের প্রেসক্লাবে এলে হাত-পা ভেঙ্গে দিবো। এরপরই গলাধাক্কা। মারধরের চেষ্টা। চিৎকার চেচামেচিতে সিনিয়রদের ছুঁটে আসা। তাদের হস্তক্ষেপেই রক্ষা। গত বুধবার সকালে লক্ষীপুর প্রেস ক্লাবে কতিপয় সাংবাদকর্মীর হাতে লাঞ্চিত টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের স্থানীয় প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান রেজা এ অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে লক্ষীপুর সদর থানায় তিনি একটি সাধারণ ডাইরি (নং-১৩৯২, তারিখ-৩১ জুলাই ১৯) দায়ের করেন। সেখানে তৌহিদুর রহমান রেজা উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন সকালে পেশাগত কাজে তিনি লক্ষীপুর প্রেসক্লাবে যান। তাকে দেখে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দানকারি সাইদুল ইসলাম পাবেল এবং অর্থ সম্পাদক কামালের হাতে তিনি লাঞ্চিত হন। বর্তমানে তিনি নিরপত্তাহীনতায় ভূগছেন। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রেসক্লাবে চলছে অস্থিরতা। প্রেস ক্লাবের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানের ২৬জন সিনিয়র সদস্য হাইকোর্টে একটি পিটিশন মামলা (নং- ১১২৬০/২০১৮) দায়ের করেন। সেখানে অগঠনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রেসক্লাবের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিকে অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২৩ অক্টোবর প্রেসক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিস্টদের শোকজ করেন। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের কমিটিকে কেন বাতিল এবং স্ট্যান্ডিং কমিটিকে নতুন করে নির্বাচন করার জন্য কেন দায়িত্ব দেয়া হবেনা তা জানতে চাওয়া হয়। তারা শোকজের জবাব দেন। রিট মামলাটি এখন চুড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায়। এদিকে গত ২৩ মে কার্যকরি কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ৬ জনসহ প্রেসক্লাবের সাধারন সদস্যদের একটি তলবি সভায় চলমান মামলাটি নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সীদ্বান্ত হয়। কিন্তু স্বার্থন্বেষি মহল রিট পিটিশন কারিদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র ও হামলা করে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ রয়েছে। আদালতে মামলা হওয়ার পর থেকে প্রেসক্লাবকে ঘিরে একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেখানে বিরাজ করছে অস্থীরতা। যে কোন সময় অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন অনেকে।