নারায়ণগঞ্জে নৃত্য শিল্পীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জীবন-যাপন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় কনকর্ড ফ্যাক্টরীর পরিত্যক্ত কাশবনে স্বামীকে বসিয়ে রেখে এক নৃত্য শিল্পীকে ৫জন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে একটি কোম্পানির স্টেজ প্রোগ্রাম করার কথা বলে কাশবনে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ওই ধর্ষিতা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সোনারগাঁ থানা পুলিশ ওই রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। বাকী দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলার এজহার সূত্রে জানাগেছে, বাদী পেশায় একজন নৃত্য শিল্পী। তার একটি নৃত্যের দল রয়েছে। বিভিন্ন্ স্থানে কন্টাকের বিনিময়ে বিয়ে, সুন্নতে খাতনা, গায়ে হলুদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য করে থাকেন। সোনারগাঁয়ের সুচারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান হিমেল ধর্ষিত নৃত্য শিল্পী, তার স্বামী হুমায়ুন কবির, তাদের সহযোগী আশামনি, মামুনকে ৬ হাজার টাকার মজুরির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম করার জন্য দড়িকান্দী এলাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত হিমেল তাকে প্রোগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে বলে। প্রস্তুত হওয়ার জন্য নৃত্য শিল্পীর স্বামী হুমায়ুন কবির, আশামনি ও অন্যান্যের কনকর্ড ফ্যাক্টরীর পরিত্যক্ত আনসার ক্যাম্পে বসিয়ে রেখে হিমেলের বাড়িতে ড্রেস পরিবর্তনের কথা বলে নৃত্য শিল্পী ও তার সহযোগী শিল্পী মামুনকে কাঁশবনের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় কাঁশবনের ভেতরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে শফিকুর ইসলাম রনি, ইলিয়াসদী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে সজিব, শাহজাহান মিয়ার ছেলে সানজিদ, বন্দর উপজেলার পিচকামতাল গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম সহযোগী শিল্পী মামুনকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আটক করে নৃত্য শিল্পীকে ৫জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সহযোগী শিল্পী মামুনের সহযোগীতায় অসুস্থ ওই শিল্পী তার স্বামীর কাছে বিষয়টি প্রকাশ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নৃত্য শিল্পী নারায়ণগঞ্জ খাঁনপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরে সোমবার রাতে ওই ধর্ষিতা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার সনমান্দী, দড়িকান্দী ও ইলিয়াসদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মাহমুদুল হাসান হিমেল, শফিকুর ইসলাম রনি ও মোঃ সজিবকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। অপর দুই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *