নইন আবু নাঈম, (বাগেরহাট) ঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় ননদ-ভাবির তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বখাটে ছেলের ঘুষিতে মায়ের দুটি দাঁত পড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মা মর্জিনা বেগম শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ জানুয়ারি বিকালে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের চালরায়েন্দা গ্রামের ডেসটিনি সংলগ্ন এলাকায়। হাসপাতাল ও ভুক্তভোগীর পারিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চালরায়েন্দা গ্রামের ডেসটিনি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নাছির মোল্লার বখাটে পুত্র বেল্লাল মোল্লা (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে গার্মেন্টে চাকরি করেন। একই ফ্যাক্টরিতে চাঁদপুর এলাকার ডলি আক্তারের সঙ্গে পরিচয় ও পরে বিয়ে হয়। ডলি তার স্বামীর এলাকাতে বসবাস করে। গত ২ জানুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ননদ তানিয়া ও তাফালবাড়ী সিনিয়র মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ডালিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ডলি আক্তার তার স্বামী বেল্লালের কাছে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হন। পরে এ ঘটনার সূত্র ধরে ৩রা ডিসেম্বর বেল্লাল ও তার স্ত্রী ডলি আক্তার মিলে তানিয়া ও ডালিয়াকে মারধর করে। এ সময় বেল্লালের মা মর্জিনা বেগম (৫০) এগিয়ে আসলে তার বখাটে পুত্র বেল্লাল মাকে বেশ কয়েকটি কিল ঘুসি মারে
এতে মর্জিনা বেগমের সামনের ২টি দাঁত পড়ে যায় এবং তিনি রক্তাক্ত যখম হন। এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বেল্লালের মা মর্জিনা বেগম আরও জানায়, তার ছেলের বউ ডলি আক্তারও তার চুলের মুঠি ধরে মারধর করেছে। এ ব্যাপারে বেল্লালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার স্ত্রী ডলি আক্তার তার শাশুড়িকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করলেও ননদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাটি স্বীকার করেছেন। তাফালবাড়ী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আহতদের চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল জোমাদ্দার জানায়, মারামরির ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি জেনে আহতদের চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।