পিংকি জাহানারা : গত ২৪ এপ্রিল, খুলনা জেলার অন্তর্গত ৫ টি উপজেলার ২ টি পৌরসভার কমিটি গঠন করা হয়। ভোটবিহীন ভাবে কমিটি আহবায়ক এবং সদস্য সচিবের মনোনীত কর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করায় অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে খুলনা প্রেসক্লাব হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে পরপর দুটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইমদাদুল হক এবং দুপুর ২ টায় খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি ভোটে নির্বাচিত আহবায়ক মোঃ শাকিল আহমেদ দিলু এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পাইকগাছা উপজেলার সাবেক সভাপতি ইমদাদুল হক জানান,,যাদের বিগত দিনে কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই, আন্দোলন সংগ্রামে নেই কোন ভূমিকা, সামাজিক অবস্থাও নেই।
হঠাৎ করে এই ধরণের লোকদের দিয়ে কমিটি দেওয়ায় পাইকগাছা পৌরসভার সকল কর্মীরা হতবাক হয়েছে।সাত বছর আগে একই সাথে পাইকগাছা উপজেলা এবং পাইকগাছা পৌর বি এন পির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা। গত ৬মাস আগে ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে পাইকগাছা উপজেলা বি এন পির পুরনো সেই আহবায়ক কমিটি দিয়ে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়।
সেখানে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অনিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক( খুলনা বিভাগ), বাবু
জয়ন্ত কুমার কুন্ডু স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। যা সকল রাজনৈতিক কর্মীরা গ্রহণ
করলেও আহবায়ক সদস্য সচীবের মনপুত না হওয়ায় সেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর মধ্যে এমন
দুরত্ব সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে যেটার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ত আর আলোর মুখ দেখবে না।পাইকগাছা পৌরসভার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক ছিলেন পাইকগাছা
আইনজীবি সমিতির ৫ বারের নির্বাচিত সভাপতি বি এন পির মনোনীত মেয়র প্রার্থী সর্বজন গ্রহণযোগ্য
এডভোকেট আব্দুস সাত্তার।
প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন সাবেক প্যানেল মেয়র, বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জনাব ইমদাদুল হক।
তাদের কে বাদ দিয়ে যাকে বর্তমানে আহ্বায়ক এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি এই কমিটির ৩ নং যুগ্ম আহ্বায়ক, পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এই কমিটির ৩ নং যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল আহম্মেদ সেলিম নেওয়াজের কাছে ৩ বার কাউন্সিলর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।
কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজের পিতা মন্ট চেয়ারম্যান পাইকগাছা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এই লাকি পেশায় একজন কাকড়া ব্যবসায়ী, দলে তার কোন সামান্য অবদান নেই, কখনো ছাত্র রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেননি,দলে তার সামান্য কোন অবদান নেই, কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন না। মূল বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায়।
আর যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে তার ও পেছনে কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। পেশায় একজন ইট- ভাটার সর্দার। ৬ মাস সাতক্ষীরা – বাগেরহাট অঞ্চলের ইটের ভাটায় থাকেন। বাকি ৬ মাস ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে দিনাতিপাত করেন। কখনো দলীয় কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন না।
মোহর আলী সর্দার নামে একজনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। তিনিও পৌরসভার বাসিন্দা নন। তিনি পার্শ্ববর্তী গদাইপুর ইউনিয়নে বসবাস করে। এবং এখন পাইকগাছা উপজেলা ইউনিয়নের যুগ্ম-আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পালন করছেন। আরো একজন যুগ্ম আহবায়ক রাখা হয়েছে আজহারুল ইসলাম গাজি। তিনিও একই ইউনিয়ন এর বাসিন্দা।
অথচ বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী নিয়ামুল হুদা কামাল, যিনি এই আওয়ামীলীগ এর আমলে দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলর বাদ দেওয়া হয়েছে মতলেব গাজী কে যিনি গত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। সকল দলীয় কর্মকান্ডে তার সরব উপস্থিতি ছিল। বাদ দেওয়া হয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা জেলা ছাত্রদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেকার মোহাম্মদ সাবেরীকে।
যে প্রায় ১০ টার অধিক মামলার আসামি। বর্তমানে যারা ৯ টি ওয়ার্ডে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কাওকে আগামী ৫ দিনের মধ্যে প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মীদের দিয়ে কমিটি পূনর্গঠনের জোর দাবী জানান পাইকগাছা ও খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
Post Views: 236