বিশেষ প্রতিবেদন : আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে আসছে বাজেট ২০২৩-২৪’ । এই বাজেট নিয়ে নিজ দলের পরিকল্পনা ও উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন করছেন জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-এট-আর্মস ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য স্কোয়াড্রন লীডার (অব) সাদরুল আহমেদ খান। তিনি ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ এক দশক জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের কাজে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি সরকারের এবারের অর্থ বছরের বাজেটের (“২০২৩-২০২৪ “) ১৩ টি সফল বিষয় তুলে ধরেছেন, সফল ওই ১৩ টি বিষয় যথাক্রমে উল্লেখ করা হলো,
১। সংসদে বাজেট উপস্থাপনের রীতি কেমন হবে ?
জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ৩১ মে ২০২৩ তারিখে এবং বাজেট উপস্থাপন হবে ১ জুন । ১ জুনের মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক সচিবালয়ের পরিবর্তে জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে , ওই সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের খসড়া বাজেট অনুমোদন হবে । সভায় সভাপতিত্ব করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । একই সময়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের রাস্ট্রপতি কার্যালয়ে অবস্থান করবেন এবং খসড়া বাজেট সম্বলিত অর্থবিলে তিনি সম্মতি দেবেন । ১ জুন বিকেল ৫.০০ ঘটিকার দিকে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বাজেট উপস্থাপন করবেন ।
২। কেমন হবে এবারের বাজেট ?
এটি হবে একাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগ সরকারের পঞ্চম ও শেষ বাজেট । অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পরিহার করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার উপযোগী বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে, ফলে স্বস্তি পাবেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ আয়ের মানুষ । এ বাজেটে ম্যাক্রো ইকোনমি স্ট্যাবিলিটি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে ।
৩। কেমন হবে বাজেটের আকার ? আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে । মোট আয় ধরা হবে প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা, সে হিসেব ঘাটতি হবে ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো । বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ ধরা হতে পারে । বড় ব্যয়ের এই বাজেটের অর্থ সংস্থানে হচ্ছে রাজস্ব আহরণ, আভ্যন্তরীণ ঋণ, বিদেশী ঋণ ও অনুদানের থেকে।
৪। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ভর্তুকি রাখা হচ্ছে কোন কোন খাতে ? ইউরোপে যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বেড়েছে । ডলারের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধিতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের বাজারেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। তাই, আসন্ন বাজেটে নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে রেকর্ড পরিমাণ ভর্তুকি রাখা হচ্ছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। তন্মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা, জ্বা্লানী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্য পরিশোধ ও প্রণোদনা প্যাকেজ ভর্তুকি বাবদ ২০ হাজার কোটি, খাদ্য ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি এবং কৃষি প্রণোদনা বাবদ ২৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে।
৫। বাজেটে খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে কি কি সুবিধা থাকছে ?
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে খাদ্য,শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে প্রধান্য দিয়ে বাজেট প্রস্তাবনা করা হচ্ছে।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কৃষককে সার, বীজ,সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা অব্যাহত রাখবে সরকার । কৃষি পণ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারী ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ৪% সুদে কৃষি ঋণ বিতরণের আদেশ অব্যাহত থাকছে ।রাসায়নিক সারের দাম বাংলাদেশ সহনীয় রাখতে চায় সরকার, বাজেটে সার প্রণোদনা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে । খাদ্য নিরাপত্তায় ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিও রয়েছে এবং উপকারভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হবে । বয়স্ক ভাতার পরিমান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হতে পারে । সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে উপকারভোগীর সংখ্যাও। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চলমান রাখা হচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা।
৬। ভোজ্যতেল নিয়ে কোন পদক্ষেপ থাকছে কি ?
ভোজ্য তেল উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল হবার লক্ষে কাজ করছে সরকার । এ উপলক্ষে তিন বছর মেয়াদি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার, ২০২৫ সাল নাগাদ তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। এজন্য বাজেটে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তেল জাতীয় শস্যের উৎপাদন বাড়াতে থাকছে বিশেষ উদ্যোগ । এছাড়া ভালো মানের বীজ সরবরাহ এবং জমিতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষকরে সরিষা, তিল, তিসি, চীনা বাদাম, সূর্যমূখী ও সোয়াবীন চাষে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে ।
৭। রফতানি আয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী রেমিট্যান্স দেশে আনার পরিকল্পনা কি ? প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটান্স অর্থনীতির অন্যতম স্রোতধারা । প্রবাস থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করতে এবং রেমিট্যান্সের বিপরীতে আকষনীয় প্রণোদনার ঘোষণার সুফল এসেছে অর্থনীতিতে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে ১ হাজার ৪০১ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৮ কোটি ডলার বেশি। আসছে বাজেটেও প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মানীত করতে এবং বিদেশে নতুন শ্রম বাজার খোজার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর সরকার । চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশের মতো। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সক্ষমতার নতুন মাইল ফলক অর্জন করেছে । এ ধারা অব্যাহত রাখতে থাকছে আকর্ষণীয় প্রনোদনা ।
৮। কর ও ভ্যাট কি বাড়বে ? কর ও ভ্যাট প্রদান করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা যেসব সমস্যায় পড়তেন, সেক্ষেত্রেও ব্যবসাবান্ধব কিছু পদক্ষেপ আসছে। ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা করতে কর ও ভ্যাট আদায়ে ডিজিট্যাল পদ্ধতির উপর জোর দেয়া হবে । ই-কমার্স মারকেটপ্লেসকে ভ্যাটের আওতামুক্ত করা হতে পারে। বিদেশ ভ্রমণে কর বাড়তে পারে সর্বনিম্ন ৭৫০ থেকে ৬ হাজার টাকা, মুঠোফোনের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হতে পারে । যেসব প্রতিষ্ঠান মুঠোফোন সংযোজন করে, যেমন কমপক্ষে দুটি যন্ত্রাংশ নিজেরা বানিয়ে মুঠোফোন তৈরি করলে এখন ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। অন্যদিকে যারা সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু দেশে সংযোজন করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে । মেড ইন বাংলাদেশ পণ্যে কর অব্যাহতি থাকতে পারে ।
অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কও মুসক হার কমলেও বাড়বে বিদেশ থেকে আনা গাড়ির , আসবাবপত্র, ফল, ফুল, পানীয় ইলেক্ট্রনিক্সের মতো বিলাসী পণ্যের । স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের দ্রব্যের দাম কমবে । আর সিগারেট, বিড়ি ও জর্দার মতো পণ্যের দাম বাড়বে।
২০০১ থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ২০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ এবং ৩০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত ৩৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শতাংশ করা হতে পারে । ২০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক বাড়তে পারে। একই মালিকের দ্বিতীয় গাড়ির অগ্রিম কর বাড়ানোর প্রস্তাব আসছে।
দামী কসমেটিক্স পণ্য আমদানিতে শুল্কহার বাড়লেও কমবে সব ধরনের ভোগ্যপণ্য বিশেষ করে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদির । এছাড়া ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ও ভ্যাট ছাড় পাবেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক লেনদেনেও কর ছাড় আসছে।
সব ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার (এআইটি) করা হচ্ছে। এতে বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় রাখতে সাহায্য করবে । আমদানি পর্যায়ে আগাম কর (এটি) ও ভ্যাট কমলে ব্যবসায়ীদের কাছে নগদ অর্থের পরিমাণ বাড়বে।
৯। করপোরেট ও ব্যক্তি পর্যায়ে কর কেমন হবে ?
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, সরবরাহ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এবারও করপোরেট করের হার লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড কোম্পানীর জন্য অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির করমুক্ত লভ্যাংশের সীমাও বাড়ানো হতে পারে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার ভ্যাটমুক্ত সীমা ৫০ লাখ টাকা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অন্যদিকে সারচার্জের হার ও সীমা পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে।
এছাড়া কর আদায় বাড়াতে সক্ষম ব্যক্তিদের করনেটের আওতায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয়া হবে।আগামী অর্থবছর থেকে নতুন করদাতা খুঁজতে বেসরকারি এজেন্ট নিয়োগ দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন করদাতা চিহ্নিত করা ও তাদের রিটার্ন দেওয়ার কাজে সহায়তা করবে বেসরকারিভাবে নিয়োগ দেওয়া এজেন্টরা।ব্যক্তি শ্রেণীর আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হতে পারে । সর্বোচ্চ স্তরের করহার বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে সর্বোচ্চ স্তরে ২৫ শতাংশ কর আরোপ হয়।এই হার থেকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর বাড়ানো হতে পারে। সেটা সুপার ট্যাক্স হিসেবে পরিচিত হবে। ভ্যাট রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করা বাধ্যতামূলক থাকবে। ই- পেমেন্ট ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে, তবে রিটার্ন দাখিল ই-টিআইএনের পাশাপাশি রিটার্ন প্রাপ্তি স্বীকার বা কর সনদ চালু থাকবে । ভ্যাটের আওতা বাড়াতে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) ব্যবহার বাড়ানো হবে । প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকিং লেনদেনের সঙ্গে আমদানি-রফতানি, ভ্যাট পরিশোধের তথ্য মিলিয়ে দেখতে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার ব্যবহারের বাড়ানো হবে, অডিটের তথ্য খতিয়ে দেখতেও এ প্রযুক্তি ব্যবহারের হবে।
১০। অপ্রদ্রশিত অর্থ মূল ধারার অর্থনীতিতে আনার উদ্যোগ আছে কি ? নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও জমি-ফ্ল্যাট ক্রয় করে অপ্রদরশিত আয় বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকছে। এছাড়া নগদ টাকা বা সঞ্চয়পত্র ও নানা ধরনের আমানতের ওপর ২৫ শতাংশ কর ও করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ আছে।
১১। আগামী বাজেটে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর আসতে পারে ?
বর্তমানে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে রিটার্নের জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হয় না, এই হার ১০ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হতে পারে । এর ফলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে গেলেও রিটার্নের প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক হবে না।
১২ । টি আই এন স্থগিত বা বাতিল করা যাবে?
আগামী বাজেটে টিআইএন বাতিল বা স্থগিত রাখতে উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখিয়ে আবেদন করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। টিআইএন থাকার মানে সবার করযোগ্য আয় প্রতিবছরই থাকবে, ব্যাপারটা তা নয়।
এ ক্ষেত্রে টিআইএন বাতিল বা স্থগিতের জন্য শর্ত হতে পারে, আগের তিন বছর ‘শূন্য রিটার্ন’ জমা দেওয়া হলে টিআইএন স্থগিত বা বাতিলের আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া প্রবীণ টিআইএনধারীদের এই সুযোগ দেওয়া হতে পারে।কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তাদের মালিকদেরও এই সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
১৩। বাজেট বাস্তবায়নে কতটুকু আশাবাদী ? গত চার বছর ধরে করোনা, ইউরোপের যুদ্ধ, প্রাক্ৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও একের পর এক রেকর্ড তৈরির বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ।
মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ চলেছে পুরোদমে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো স্বপ্নের প্রকল্পের উদ্ভোধন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলি টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় প্রকল্পেগুলোর আশানুরূপ বাস্তবায়নের সক্ষমতায় সরকার এখন অন্য যেকোন সময়ের চাইতে বেশি আত্মবিশাসী। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পরিশ্রমী বীর বাঙ্গালী জাতির অক্লান্ত ঘাম আর জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ হাতে দেশ পরিচালনায় ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্তে আগামী ১ জুনের বাজেট দেশবাসির জন্য নিয়ে আসছে একগুচ্ছ সুখবর । আর সে সুখবর কাছে পেতে আগামী ১ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ।যতো চ্যালেঞ্জই হোক না কেনো সরকারের বাজেট হবে জনবান্ধব।