মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অর্ধশতাধিক বানান ভুল। ক্লাস্টার কমিটির দ্বায় স্বীকার,কালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মশিউল হক মিঠু শিক্ষকদের গুনগানে পঞ্চমুখ,কোন অপরাধ করেনি শিক্ষক জগলুলসহ কমিটির শিক্ষকগণ। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাঐসোনা ক্লাস্টার আন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা-২০২৩ এর ৫ম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রে অর্ধশতাধিক বানান ভুল হয়েছে। (৩১ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় দায়ীত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দায়ীত্ব হীনতা ও খামখেয়ালী পনাকে দায়ী করছেন,নড়াইলের সচেতন মহল। সম্প্রতি ওই বিষয়ে প্রশ্নপত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে,তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে,সোশাল মিডিয়ায়। গত (৩ সেপ্টেম্বর) রোববার বাঐসোনা ক্লাস্টারের দায়ীত্ব প্রাপ্ত ও কলাবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগলুল হায়দারের
স্কুলে সাংবাদিক’রা গেলে তিনি প্রথমেই নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন,১৮ সেট প্রশ্নপত্র তৈরীতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের সীমিত সময় দেওয়ার কারণে এ ভুল হয়েছে। এছাড়া এই প্রশ্নটি ডুমুরিয়া স্কুলের শিক্ষক নাজিরকে চেক করতে বলা হয়েছিল,তবে তার শাশুড়ি’র অসুস্থতার কারণে তার দায়ীত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন নি। এ ধরনের ভুল আমাদের মত শিক্ষকদের করা উচিৎ হয়নি এবং এ ভুলের দায় ভার আমি এড়াতে পারিনা বলেও সাংবাদিকদের কাছে ভুল শিকার করেন। এ বিষয়ে শিক্ষক নাজিরের সাথে কথা হলে তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন,আগামীকাল এ বিষয়ে আপনাদের সাথে বসে ফয়সালা করা হবে। ক্লাস্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র দাস মুঠোফনে বলেন,আমি পশ্ন পত্রের ভুলের বিষয়ে কিছুই জানি না,তবে প্রশ্ন পত্রে কোন রকম ভুল হলে অত্যন্ত দুঃখজনক,এটা একটা বড় ভুল,সেনসিটিভ বিষয়,আমি পশ্ন পত্রের ভুলের বিষয়ে কিছু সুনি নাই,তবে আমিও এত বড় ভুলের দ্বায় ভার এড়াতে পারি না,কারন আমিও ওই কমিটির একজন সদস্য বলে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে ভুল শিকার করেন,এ শিক্ষা কর্মকর্তা। নড়াইলের সচেতন মহল জানান,স্কুলের প্রশ্ন পত্রে’র বানানে অর্ধশতাধিক ভুল,প্রশ্ন পত্রে এমন একাধিক ভুলে’র জন্য শিক্ষকদের দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই,নিজেদের খামখেয়ালীর জন্য স্কুলের শিক্ষার্থী’রা ভুল শিক্ষা গ্রহন করবে,এটা আমরা শিক্ষকদের কাছে আশা করি না, প্রশ্ন পত্রের ভুলের সাথে জড়িত সকল শিক্ষকসহ শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানান। এদিকে,কালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মশিউল হক মিঠু উত্তেজিত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন,অপরাধ বা ভুল করলে শিক্ষা কর্মকর্তা এটিও করেছে,জগলুলসহ শিক্ষকদের কাছে কেন আপনারা জিগ্গাসা করছেন,ভুল বা অপরাধ করলে শিক্ষা কর্মকর্তা এটিও এর কাছে যান। শিক্ষক জগলুলসহ কোন শিক্ষক এ ভুলের জন্য দায়ী না বলেও জানান তিনি। দৈনিক সমকাল পত্রিকার কালিয়া উপজেলা প্রতিনিধী ও কালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মশিউল হক মিঠু’র কাছে ঘটনার বিষয়ে এবার মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতির ক্ষমতা দেখিয়ে উচ্চস্বরে বলেন,আমি শুধু শিক্ষকদের বিষয়ে বলিনি,অপরাধ বা ভুল করলে শিক্ষা কর্মকর্তা এটিও করেছে এখানে শিক্ষকদের দোষ কোথায়,দায়ীত্বে ছিলো এটিও তার কাছে সোনেন,এটিও এর খামখেয়ালীর বিচার চাই,তবে প্রশ্ন পত্রে এত বড় ভুলের দায় ভার কালিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিও বিকাশ চন্দ্র দাসকে নিতে হবে,তিনি একজন শিক্ষা কর্মকর্তা,তিনি কি ভাবে এত বড় ভুল করলেন,বলেও জানান।