রাজনৈতিক রোষানলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন

সারাদেশ

ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত অালফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ূন কবীর বাবু (সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি) এবং একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।
বিগত ২৮/০৪/২০১৯ তারিখ উথলী ৩নং ওয়ার্ডের তারা মিয়া বানা ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি এান নিয়ে ষড়যন্ত্রের সূএপাত ঘটায়। চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু বলেন সরকারি যে এান তার ইউনিয়নে এসেছে তা উক্ত ইউনিয়নের ভূমিহীন অসহায় দরিদ্র জনগনের তুলনায় সীমিত । সেদিক থেকে তারা মিয়া অনেকটায় স্বচ্ছল। ওই দিন এান দেওয়ার শেষ পর্যায় তারা মিয়া ইউনিয়নে গেলে চেয়ারম্যান তার দায়িত্ব দেয় তারা মিয়ার গ্রামের মেম্বার অাদু মোল্লার নিকট।
অাদু মোল্লা তাকে বলে অাজকের মত কার্যক্রম শেষ। তাকে পরে অাসতে বলা হয়। এমত অবস্থায় তারা মিয়া এান না পেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং তার গ্রামের অাওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে এবং সরকারি হেল্প সেবা ৩৩৩ ফোন করে সাহায্য চায় যার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাকে সাহায্য করেন। পরবর্তীতে মেম্বারের নিকট বিভিন্ন গণমাধ্যম ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন – হ্যা অামি তাকে বলেছি সে গ্রামে থাকে না অনেক বছর। বাস্তবত সে ঢাকার ভোটার, তার থেকে হতদরিদ্র ছিন্নমূল সংখ্যায় গ্রামে বেশি রয়েছে। তারপরেও অামি সরকারি নিয়ম মেনে তার এানের ব্যবস্থা করব। মেম্বার অারো বলেন,কিন্তুু অামাদের গ্রামের অসহায় মানুষের বিপদের বন্ধু জাহাঙ্গীর এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা।


বিজ্ঞাপন

তার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে গেলে উথলী গ্রামের ভূমিহীন অসহায় হতদরিদ্র এবং সাধারণ মধ্যবিও জনগনের নিকট থেকে জানা যায় জাহাঙ্গীর মোল্লা একজন বংশীয় ঘরের সন্তান। জনদরদী ও এলাকার একজন গন্যমান্য নেতা হিসেবে সমাদৃত । তারা অরো বলেন অামারা যারা দিন অানি দিন খাই করোনা ভাইরাসের কারনে অামাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। তখন অামরা জাহাঙ্গীরে হোসেনের নিকট যাই। সে অামাদেরকে চেয়ারম্যানের নিকট হতে এান পেতে সাহায্য করে এবং তিনি তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে বিভিন্ন সময় অামাদেরকে সাহায্য করে থাকেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন কার্ডও চেয়ারম্যান মেম্বার অামাদেরকে দিয়েছেন। গ্রামের একাধিক লোকের থেকে একই তথ্য পাওয়া যায়।


বিজ্ঞাপন
তারা মিয়ার মিথ্যে লিখিত অভিযোগ

এখানে প্রশ্ন হল এমন জনদরদীর বিরুদ্ধে তারা মিয়ার এরূপ লিখিত অভিযোগ কেন? এই প্রশ্নের উওর খুজতে গেলে কেচো খুড়তে কেউটে বের হয়ে অাসে। সরজমিনে ঘুরে জানা যায় উথলী গ্রামে অার এক বাসিন্দা ফুল মিয়া স্থানীয় সার ব্যবসায়ী যে বরাবরই অাওয়ামীলীগের বিরোধীতা করে অাসছে। যা অনেকের নিকট অজানা। বর্তমানে সে কাজী হারুন শরীফ (বিগত বানা ইউনিয়নের চেয়াম্যান নির্বাচনে অাওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী) এর ছএছায়ায় থেকে স্থানীয় অাওমাীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের বিপক্ষে জনমত তৈরি করেন। ঘটানার অনুসন্ধানে অারো জানা এই তারা মিয়া ফুল মিয়ার একনিষ্ঠ লোক। ফুল মিয়ার সন্ত্রাসী ভাতিজা মিলন একাধিকবার জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে যা তথ্য প্রযুক্তির মামলার অাওতাভুক্ত। জাহাঙ্গীর­ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অামি থাকি বোয়ালমারী। গ্রামে গরীব মানুষের বিপদে অাপদে ছুটে যায়। তাদের অধিকার অাদায়ে অমি নিরলস কাজ করি। অামাকে নিয়ে যিনি অভিযোগ করেছেন অামি জানি সে ঢাকায় থাকে। তার সাথে অামার দীর্ঘদিন কোন সাক্ষাৎ হয় নাই।তার অনেক প্রমান রয়েছে অামার কাছে,তাহলে কি করে অামি তাকে এানের ব্যাপারে সাহায্য করলাম না? যার সাথে দেখা হল না কথা হল না সে অামার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দিল? অামি জনগনের জন্য কাজ করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের রাজনীতি করি। সেই অাদর্শে চলতে গিয়ে অাজ অামাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনেই এান দিচ্ছিলাম এতদিন। ভাল কাজে বিরোধী পক্ষ থাকবে শত্রু থাকবেই এরাই এই তারা মিয়াকে দিয়ে অামার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অামি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। কোন পদ পদবী না পেয়েও এতদিন বিনা স্বার্থে রাজনীতি করেও এই অামার প্রাপ্য ছিল।

তারা মিয়া একজন অসহায়, জন্মগত অসুস্থ তার জন্য অামার খারাপ লাগে কিন্তু সে যে কারো প্রচোরনায় পড়ে এরকম কাজ করবে ভাবতে পারি নাই। এান দেয় ইউনিয়ন থেকে সেখানে অামাকে করা হয়েছে ১নং বিবাদী। বোযা যাচ্ছে এর পিছনে অন্য কারো হাত অাছে। অন্য কোন অক্রশ। অামি প্রকৃত দোষীকে খুজে বের করার জন্য প্রশাসন,এমপি মহাদোয় এবং প্রান প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের নিকট সাহায্য কামনা করছি। নতুবা রাজনিতী থেকে অবসর নিব।এনিয়ে গ্রামের মধ্যে থম থম অবস্থা বিরাজ করছে। কেননা অাপামর জনগনের প্রানের দাবি শষ্যের ভিতরে ভূত সেই অদৃশ্য ভূত অার তারা মিয়া জোট হয়ে এসব করাচ্ছে অার তার জন্য অামারা অামাদের নেতাকে হারাতে পারব না।অামারা তার পক্ষে অাছি। তিনি অামাদের বিপদ অাপদে এগিয়ে অাসেন।সম্মানিত ব্যক্তির মান হানি হয়েছে অামরা এর বিচার চাই। সুষ্ঠ তদন্ত হোক। এদিকে বানা ইউনিয়ন এর অাওয়ামীলীগ সভাপতি হাসানুল হক মিলু বলেন,জাহাঙ্গীর হোসেন দীর্ঘ দিন অাওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। একজন সৎ অাদর্শবান নেতা। নিরলসভাবে দলের জন্য কাজ করে। তার পিতা মৃত কাঞ্চন মোল্লা বার বার স্থানীয় মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন এবং সে অাওয়ামীলীগের ক্রান্তিকাল থেকে পদবী বিহীনভাবে দলের পদবী বিহীনভাবে দলের সাথে যুক্ত অাছেন।স্থানীয় চেয়ারম্যান নির্বাচনও করেছেন তিনি।তার গ্রামের প্রতিপক্ষ এসব করাচ্ছে তার রাজনেতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য।অামি বাংলাদেশ অাওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।