নিজস্ব প্রতিবেদক : বেশিরভাগ কোভিড হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু না থাকায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছেন না রোগীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়ানো হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মুমূর্ষু রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে অচল সিলিন্ডার সচল, মানসম্পন্ন সিলিন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
সংকটাপূর্ণ সিংহভাগ কোভিড রোগীর জন্যই প্রয়োজন অক্সিজেন সুবিধা। তবে শুধু সিলিন্ডার দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন সরবরাহ সম্ভব নয়।
অথচ কোভিড নির্দিষ্ট অধিকাংশ হাসপাতালেরই নেই কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা। কয়েকটি হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন রয়েছে দাবি করলেও তা সাধারণ ওয়ার্ড পর্যন্ত বিস্তৃত নয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রে. জেনারেল জামিল বলেন, আইসিইউ, পোস্ট অপারেটিভ, ওটি এসব জায়গায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম আছে, নেই শুধু সাধারণ ওয়ার্ডে।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক বলেন, ২শো সিলিন্ডার আমাদের আছে, যেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন নেই ব্যবহারের জন্য।
এদিকে, শয্যা অনুযায়ী কোনো হাসপাতালেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত নয়। ৫০০ শয্যার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৪৫০টি, ২০০ শয্যার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ১২৩টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে রয়েছে ১৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। তবে সব সচল আছে কিনা সেটি নিশ্চিত হবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফজলে রাব্বী বলেন, প্রত্যেকটি সিলিন্ডার টেস্ট করে ফেলতে হবে। এছাড়া অকার্যকর থাকলে সেগুলো কিভাবে কার্যকর করা যায় সেসব কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি সম্ভাব্য রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় এনে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদের অনুরোধ বিশ্লেষকদের।
অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার আশ্বাস স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, সেন্টার সরবরাহ করা, সেন্ট্রাল লাইনটাই আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেসব জায়গায় নেই, সেখানে আনার চেষ্টা করছি।
তবে কোভিডের নতুন হাসপাতাল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেবার জোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।