নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কোনও জমিই অনাবাদি না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বৈশ্বিক এই দুর্যোগের কারণে পৃথিবীতে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে। স্রষ্টা বাংলাদেশকে উর্বর জমি দিয়েছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশের কোনও জমিই অনাবাদি রাখা যাবে না।’
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সবজি বীজ, রিপার মেশিন বিতরণ, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাঝে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমরা যেন এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি না রাখি। সেই লক্ষ্য নিয়েই সারা দেশে সরকার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশকসহ নানা ধরনের কৃষিযন্ত্র ভর্তুকিতে বিতরণ করছে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমরা যদি অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে পারি সেক্ষেত্রে অন্যদেরও সহায়তা করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, একেবারে গ্রাম পর্যায়েও যাতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীগুলো চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, বীজ, সার ও কীটনাশক একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে। কোনও কৃষক যাতে কোনও জমি অনাবাদি না রাখেন সেজন্য প্রত্যেককে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।