নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর এই পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী থমকে গেছে। অসহায় ও মধ্যবিত্ত মানুষদের নীরব হাহাকারে বাতাস ভারী হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের জন্য তাঁর সর্বোচ্চটা উজার করে দিচ্ছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গত ৬মে ঢাকা-০৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা ইন্তেকাল করেছেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে একজন জনগণের প্রতিনিধির প্রস্থান নিঃসন্দেহে ক্ষতি ও দুঃখের বিষয়। ইতিমধ্যে ঢাকা-০৫ আসনের জননন্দিত নেতা, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী মনিরুল ইসলাম মনু উক্ত আসনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং সকল ক্রান্তিলগ্নে পাশে থাকার দায়িত্ব কাধে তুলে নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
কাজী মনু বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী একজন জননেতা। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ, ৭১’র ৭মার্চের ভাষণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হওয়া, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ডেমরা-তেজগাঁও অঞ্চলের তৎকালীন এমসি হেদায়েত উল ইসলামের নেতৃত্বে ভারত গমন, ট্রেনিং গ্রহণ এবং পরবর্তীতে ৮নং সেক্টরে মেজর হায়দারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন কাজী মনু। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে যাত্রাবাড়ীতে মিছিল বের করেন, ১৯৭৭ সালে দেশের বৈরী রাজনৈতিক আবহাওয়ার ভিতরেও ততকালীন ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ৭ই মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন বিপুল লোক সমাগম নিয়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হন। পরবর্তীতে তিনি ৮৭নং (পূর্বের ৩৩) ওয়ার্ড থেকে আরো দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। জামাত-বিএনপির দুঃশাসনের সময় ২০০৩ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। সেই সময়ে বেশ কয়েকবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার উপর অবিচল আস্থা রেখে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-০৫ আসন থেকে সদ্য প্রয়াত সাংসদ আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার সাথে যৌথভাবে তাকে মনোনয়ন দিলেও পরবর্তীতে চূড়ান্তভাবে মোল্লাক দেয়া হয়।
দেশের এই সংকট মুহুর্তে বর্তমান প্রয়াত সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুর পর ঢাকা-০৫ আসনের জনগণ সৎ ও পরিচ্ছন্ন এবং যোগ্য ব্যাক্তি হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত, লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর মাঝে অভিভাবকত্ব খুঁজে ফিরছে।