কালিয়ায় মানবিক সহায়তা কার্ডের তালিকায় স্বজন প্রীতি মেম্বারের নিজ নামে চালের কার্ড

অপরাধ সারাদেশ

মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় দরিদ্রদের পারিবারিক মনবিক সহায়তা কার্ডের তালিকায় স্বজন প্রীতি ও স্থানিয় দলিয় করনের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় স্থানীয় ইউপি সদস্যর নাম থাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ইউনিয়ন পরিষদ।
জানা যায়, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্যে সরকার পারিবারিক মানবিক সহায়তা কার্ডের তালিকা করেছে, তবে অভিযোগ উঠেছে হতদরিদ্র, কর্মহীন ও গরিবের এই কার্ডেও ভাগ বসিয়েছেন উপজেলার কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৫ নংওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য মো: শের আলী।
নিজের নামও দিয়েছেন মনবিক সহায়তা কার্ডের তালিকায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকার নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমরা মেম্বারের দল না করার কারণে করোনার সংকটময় মুর্হুতে মেম্বার আমাদের কোন সাহায্য সহযোগিতা করছে না। সরকার আমাদের দিচ্ছে কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। আমরা দিনমুজুর, দিন আনি দিন খাই, একদিন ভ্যনের চাকা না ঘুরলে আমাদের সংসারের চাকা ঘুরে না ।
এ বিষয়ে ইউপি সচিব রেজাউল করিম বলেন, আমি মেম্বার সাহেবদের সচ্ছো তালিকা করার জন্য বলেছিলাম তারপরও তিনি নিজের নাম ও পূর্বে থেকে পেয়ে আশা ভিজিডির ওএমএসের কার্ড ভুক্তভোগিদের তালিকা দিয়ে আমার কাছে জমা দেন। ইউপি সচিব হিসাবে এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার শের আলির কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার নিজের নামে একটি কার্ড আছে আমি নিজে একজন গরিব মানুষ।
আমাকে আমার ওয়ার্ডের জনগণ ভালোবেসে ভোট দেন, এজন্য আমার কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না।
আমি তালিকা তৈরির বিষয়ে কিছুই জানি না, আমার ওয়ার্ডের কিছু লোককে দিয়ে আমি তালিকা করেছি।
আমি যাদের নাম দিয়ে ছিলাম তাদের নাম বাদ দিয়ে তাদের নিজেদের ইচ্ছায় তালিকা করেছে।
আমি পড়াশুনা না জানার সুবাদে ঐ তালিকা সঠিক বলে আমাকে দিয়ে সই করিয়েছে।
চেয়ারম্যন এড: মাহামুদুল হাসান কায়েস বলেন, আমার ইউনিয়নে দূর্নীতির কোন স্থান নেই আমি প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বারদের নিয়ে বৈঠাক করে ওয়ার্ডের জনসংখার উপর ভিত্তি করে ০৫ নং ওয়ার্ড সদস্য শের আলী কে স্বচ্ছ পরিবার ও র্পূবে থেকে পেয়ে আশা ভিজিডি ও ওএমএসের কার্ড স্বজন প্রীতি বাদ দিয়ে অসহায় দিনমুজুর সুবিধা বঞ্চিত ১৭৩ টি নামের তালিকা করে জমা দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি সেটা না করে কিছু অনিয়ম করেছেন বিষয়টা আমি শুনেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, মানবিক সহায়তা কার্ডের তালিকায় কোন অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কলাবাড়ীয়ায় ওই লিষ্টে যদি স্বজন প্রীতি হয়ে থাকে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন