সর্বোচ্চ মৃত্যু-শনাক্ত

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন সারাদেশ স্বাস্থ্য

এম এ স্বপন : বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৭৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৫১১ জনে। এছাড়া একদিনে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৯৫ জন। মোট সুস্থ ৫৬০২ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ১০ হাজার ১৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ২৬২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ১৪ হাজার ১১৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৭৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। এদের ১৯ জন পুরুষ, তিনজন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৩৯৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৬০২ জনে।
নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৯ জন পুরুষ, তিনজন নারী। বয়সের দিক থেকে ১১ থেকে ২০ বছরের দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী দুজন রয়েছেন।
গত বুধবারের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন মারা গেছেন। ১০ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৬১৭ জনের দেহে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত এবং শনাক্ত- উভয় সংখ্যা শুধু বাড়েইনি, হয়েছে রেকর্ডও। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল ২১ জনের। এ তথ্য জানানো হয় গত ১৮ মের বুলেটিনে।
ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।
চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বকেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫১ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা সোয়া তিন লাখেরও বেশি। তবে ২০ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল পর্যন্ত প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৯১২ জন। এই ভাইরাসে মারা গেছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৬ জন।


বিজ্ঞাপন