নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘণ্টায় ৭৮ থেকে ৮৩ কিলোমিটার বেগে রাজধানীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের তাণ্ডবে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় উপড়ে গেছে গাছপালা। ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
আবহাওয়া অফিস ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে সকালে মাত্র ৩ ঘণ্টায় রেকর্ড হয়েছে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত যা সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
মঙ্গলবার (২৬ মে) দিনগত রাত এবং বুধবার (২৭ মে) ভোরে তীব্র গতিতে এ ঝড় আঘাত হানে।
ঘণ্টায় ৭৮ থেকে ৮৩ কিলোমিটার বেগের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব কিছুটা আঁচ করা যায় রাজধানীর বিভিন্ন প্রধান সড়কের পাশের বিশাল বিশাল গাছের অবস্থা দেখে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঢাকার রমনা, ধানমন্ডি, হাতিরঝিল, হাইকোর্ট ও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে। ভোর থেকেই এসব গাছ অপসারণ করে রাজপথ সচল করতে তৎপর হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনসহ সেবা সংস্থাগুলো।
আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক কাওসার পারভীন বলেন, সমুদ্রে বায়ুচাপের তারতম্য থাকায় এ মুহূর্তে বাতাসের তীব্রতা বেশি। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে অমাবস্যার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে।
দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। ঈদের দিন অর্থাৎ ২৫ মে থেকে তিন দিন চার সমুদ্র বন্দরে দেখাতে বলা হচ্ছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।’
আবহাওয়ার আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয় ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ও খুলনা বিভাগের দু‘এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য দেয়া ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।