কঠোর লকডাউন

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা সারাদেশ স্বাস্থ্য

*আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃত্যু
*রেড-ইয়েলো-গ্রিন ভাগে ভাগ করে কর্মপন্থা

 

মহসীন অহমেদ স্বপন : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে রাজধানীসহ সারাদেশকে তিনটি জোন-রেড, ইয়েলো ও গ্রিন ভাগে ভাগ করে কর্মপন্থা গ্রহণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বেশি করোনা আক্রান্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে তা লকডাউন করে দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সংক্রমণের মাত্রা বাড়লেও আর সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্তে ফিরছে না সরকার। জোন ভাগ করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হবে। রোববার থেকেই রাজধানীতে জোন ভাগের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোনভিত্তিক লকডাউনে দেরির চড়া মাশুল গুণতে হবে। দেশে গত দু’সপ্তাহে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
এ পরিস্থিতিতে শনিবারও দফায় দফায় বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর। বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, আর পুরো দেশে ছুটি ঘোষণার চিন্তা নেই সরকারের। ঝুঁকি বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার দিকেই এগুচ্ছেন তারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নিয়ে রোববার থেকেই ঢাকায় জোন ভাগের কাজ শুরু হবে।
অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকার একাধিক জায়গায় রোববার ভাগ করার একটি প্রচেষ্টা হাতে নেয়া হয়েছে। রেড জোনগুলোতে সব কিছুই বন্ধ করা হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরো দু’মাস আগেই শুরু করা উচিৎ ছিলো জোন ভাগের কাজ। ডা. রিদওয়ান বলেন, আজকে করলে এটা কতটুকু সুফল পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত নই। এটা দুমাস আগে করলে অনেক ভাল ফল পাওয়া যেত।
জানা গেছে, করোনা মোকাবিলায় বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে জোনিং ব্যবস্থা পুরোদমে বাস্তবায়ন করবে সরকার। এজন্য একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রম অবনতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর গত ১ জুন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় বসেন। ওই সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার কথা জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে-বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়েলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা মুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়েলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।
রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনের মধ্যে কোন কোন এলাকা পড়ছে তা মানুষ কীভাবে জানবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, অ্যাপ নিয়ে যারা কাজ করছে, তারা জোনিংটা ইতিমধ্যে করে ফেলেছে, তবে তা প্রকাশ করা হয়নি। পরে হয়তো মিডিয়ায় যাবে, আর যে এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে, সেখানে মাইকিং হবে, বিভিন্নভাবে প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে জানানো হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি এক লাখে যদি ৩০ জন বা এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত থাকে তবে সেটাকে রেড জোন বলা হবে। ৩ জনের বেশি কিন্তু ৩০ জনের কম থাকলে তবে সেই এলাকাকে ইয়েলো জোন বলা হবে। এক বা দু’জন বা কেউ না থাকলে সেটাকে গ্রিন জোন বলা হবে।
তবে জোন ঘোষণার ক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। রেড জোন ঘোষণার ক্ষেত্রে এক লাখে আক্রান্তের সংখ্যা ২০, ৩০ ও ৪০- তিন ধরনেরই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা গেছে, অ্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করা থাকবে কোন এলাকা রেড জোন, কোন এলাকা ইয়েলো জোন এবং কোনটি গ্রিন জোন। আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে গেলে, রোড জোন পর্যায়ক্রমে ইয়েলো ও গ্রিন হবে। প্রযুক্তিগত সহায়তার কাজটি করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) তথ্য সরবরাহ করবে।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন নির্দেশনা মানার সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি নেই।
দেশে নতুন করে আরও ২ হাজার ৬৩৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গেছেন ৩৫ জন। করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুলেটিনে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৯০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪৮৬টি। এখন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে গেল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৩৫ জন এবং মোট শনাক্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৬ জন।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত শনাক্তকৃতদের মধ্যে ৭১ শতাংশ পুরুষ এবং বাকী ২৯ শতাংশ নারী। শনাক্তদের মধ্যে গেল ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন। বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছেন ৩৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৪৬ জন। নতুন মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী।
এর আগে শুক্রবার ২ হাজার ৮২৮ জনের আক্রান্ত ও ৩০ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয় অধিদপ্তর। এই সংখ্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
এ দিকে দেশে নতুন করে আরও ২ হাজার ৬৩৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গেছেন ৩৫ জন। করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন।
তিনি ৫০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২হাজার ৯০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৪৮৬টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো তিন লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৬৩৫ জনের দেহে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ২৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ৮৪৬ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১২ হাজার ৮০৪ জন।
নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের ২৮ জন পুরুষ, নারী সাতজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে আটজন, সিলেট বিভাগে দুজন, রাজশাহী বিভাগে তিনজন এবং বরিশাল বিভাগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, নয়জন বাড়িতে এবং হাসপাতালে আনার পর একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বয়সের দিক থেকে ১১ থেকে ২০ বছরের দুজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব পাঁচজন, সত্তরোর্ধ্ব নয়জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন মারা গেছেন।
গত শুক্রবারের (৫ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জন মারা গেছেন। ১৪ হাজার ৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ৮২৮ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ও মৃত্যু-উভয়ই বেড়েছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড আছে। এ তথ্য জানানো হয় ৩১ মে’র বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে দুই হাজার ৯১১ জনের, যা গত ২ জুনের বুলেটিনে জানানো হয়।
শনিবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। লিঙ্গভেদে শনাক্তের হিসাবে ৭১ শতাংশ পুরুষ এবং ২৯ শতাংশ নারী। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় এ পর্যন্ত সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৩১৪ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন সাত হাজার ১৬২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৮ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৫ জন।
দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে এক হাজার ৭৮৯ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার ২২২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮১১ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৪২ হাজার ৯২৫ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৭ হাজার ২৯৮ জনকে।
দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।
এর আগে শুক্রবার ২ হাজার ৮২৮ জনের আক্রান্ত ও ৩০ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয় অধিদপ্তর। এই সংখ্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত এই তালিকায় অবস্থান করছে ছয় নম্বরে। শনিবার ইতালিকে টপকে এই অবস্থানে উঠে আসে ভারত। দেশটিতে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৪ জন। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মারা গেছেন ৬ হাজার ৬৪৯ জন।
অন্যদিকে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৬৮ লাখ ৬১ হাজার ৭১৬ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৭ জন।
করোনায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এছাড়া সেখানে এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৯৪ জনের।


বিজ্ঞাপন