বড়লেখা উপজেলার গরুর শরীরে নতুন ভাইরাস

সারাদেশ

মৌলভীবাজার জেলা আক্রান্ত ৬ হাজারের অধিক

 

সিলেট ব্যুরো: মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। কিছু গরু মারা যাওয়া খবর পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার প্রত্যেক উপজেলায় এই রোগ ছড়িয়ে গেছে। বিগত প্রায় ৩/৪ মাস ধরে বিভিন্ন উপজেলায় এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুরো জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬১১০ টি গরু। এর মধ্যে সদরে- ৫২১, রাজনগরে- ২২৯, কুলাউড়ায়- ১৩৫২, বড়লেখায়- ২১২৬, কমলগঞ্জে- ২৭৭, জুড়ীতে- ২৩৭, শ্রীমঙ্গলে- ১৩৬৮ টি হয়েছে। এ রোগে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ টি গরুর। এরমধ্যে কুলাউড়ায় ১০, শ্রীমঙ্গলে ৭, জুড়ীতে ৩ টি।

প্রাণিসম্পদ সূত্র জানায়, আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে সাথে মুখ দিয়ে এবং নাক দিয়ে লালা বের হয়। পাও ফুলে যায়। সাথে সামনের দু পায়‌ের মাঝ স্থান পান‌ি জমে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে
গুটি, খোঁড়া, ফুলা হয় এবং লোম উঠে যায়। ধীরে ধীরে এই গুটি শরীরের অন্যান্য জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। পাকস্থলী অথবা মুখের ভিতরে ক্ষত হলে গরু পানি পান করে না এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ মাছুদার রহমান সরকার বলেন, গবাদি পশুর এটি লাম্পি স্কিন ডিজিজ। এ ভাইরাসটি গত বছর আমাদের দেশে এসেছে। পুরোও দেশজুড়ে এ রোগ রয়েছে। তবে মৌলভীবাজাররে এ রোগ এখনো কম। এ রোগের যেহেতু কোনো ভ্যাকসিন এখনো বের হয়নি। তাই সাধারণ চিকিৎসাতেই এ রোগ সেরে যায়। তবে মানুষরা লেট করে ফেলে, সেজন্য ভালো হতে সময় লাগে।

তিনি বলেন, এটি ভাইরাসবাহিত রোগ। মশা, মাছি ও আটালির মাধ্যমে এই রোগ ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত গরুর কাছ থেকে মশা, মাছি ও আটালি রোগটি বহন করে অন্য গরুর শরীরে বসলে সেই গরুরও হয়ে যাবে। এলাকার মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষরা আতঙ্কিত হবেন সে জন্য মাইকিং করা হচ্ছে না