রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বনানী কবরস্থানে সমাহিত মোহাম্মদ নাসিম

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থান জামে মসজিদে জানাজা শেষে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।


বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার কফিনে গার্ড অব অনারসহ ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় দলীয় নেতা কর্মীদের ভিড়ে বনানী গোরস্থান এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রবীণ এই রাজনীতিককে শ্রদ্ধা জানানোর সকল অনুষ্ঠান ও একাধিক জানাজা বাতিল করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী। প্রয়াত নাসিমকে সিরাজগঞ্জ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা বাতিল করা হয়।

হাসপাতালের মরচুয়ারি মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহ সকালে তার ধানমন্ডির বাসায় নেয়া হয়। এর পর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ধানমন্ডির সোবহানবাগ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ বনানীর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

গত ১ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে তার শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের চেষ্টায় তিনি করোনা থেকে মুক্তি পেলেও ৫ জুন স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। তবে এক পর্যায়ে তিনি চলে যান গভীর কোমায়।

সংকটাপন্ন নাসিমকে তার পরিবার বিদেশে নিতে চাইলেও তার সেই অবস্থাও ছিল না বলে চিকিৎসকরা জানান। গভীর কোমা থেকে শতচেষ্টাও তাকে আর ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা।

মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ১৯৪৮ সালের দোসরা এপ্রিল জন্ম। তরুণ বয়সেই পিতার হাত ধরে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র।