নড়াইলের কালিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপে চরম উত্তেজনা, হামলার আশঙ্কা

অপরাধ আইন ও আদালত সারাদেশ

মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিস দখল কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনায় পুলিশ একজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে।


বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কালিয়া পৌরসভার মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন ও যুগ্ন আহ্বায়ক জামান হোসেন জনের মধ্যে দ্বন্দের জেরে জামান হোসেনের দখলে থাকা অফিসটি দখল নেয়ার জন্য ২৫/৩০ জন সমর্থক নিয়ে পৌর মেয়র গত ১২ জুন বিকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গেলে পুলিশ মেয়র সমর্থক উপজেলার বেন্দারচর গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মাহামুদ হাসানকে ২৯টি রামদা সহ আটক করে।

ওই ঘটনায় কালিয়া থানার এস আই রনজিত সেন বাদি হয়ে মাহামুদ হাসানের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা প্রায় অর্ধশত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা বলে স্থানীয় নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন।

যুগ্ম আহবায়ক জামান হোসেন জন জানান,কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু কৃষ্ণপদ ঘোষ ও মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান নিজে ২০১৫ সালে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ওই অফিস উদ্ধোধন করেন।
সেই থেকে আমি এই অফিসে নেতাকর্মী নিয়ে বসি ও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করি।
গত শুক্রবার হঠাৎ মেয়র সমার্থক লোকজন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অফিসে এসে আমার নামে অশ্লীল ভাষা ও হুমকি দিয়ে গেছে।
আমি সেখানে উপস্থিত না থাকায় প্রানে বেচে গেছি বলেও জানান।

কালিয়ার পৌর মেয়র ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন জানান,আমি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক, সুতরাং অফিস দখলের প্রশ্নই ওঠে না।
ওখানে জামান হোসেন জন এর নেতৃত্বে কিছু লোক টেম্পু স্ট্যান্ডে চাদা তোলে।
আমার পৌর এলাকায় আমি কোন চাদা তুলতে দিবো না,তাই আমি সেটা বন্ধ করতে গিয়েছিলাম।

কালিয়া থানার ওসি মো:রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি অস্ত্র মামলা হয়েছে।
আসামী গ্রেফতার করে চালান দেয়া হয়েছে,আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন অব্যহত আছে বলেও তিনি জানান।