করোনাকালেও নৃশংসতা

অপরাধ

উত্তরায় উদ্ধারকৃত দ্বিখন্ডিত লাশের মস্তক পায়নি পুলিশ

 

 

নিজস্ব প্রতিদেক : করোনার সংক্রমণের মধ্যেই আবারো রাজধানীতে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটছে।গলাকেটে হত্যার পর নিহতের লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন জটিলতা ও টানাপড়েনের কারণে এধরনের নৃশংস হত্যাকান্ডে ঘটনা ঘটছে বলে অভিজ্ঞমহল দাবি করছেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান এলাকায় থেকে গত সোমবার দুপুরে এক যুবকের খ-িত দেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তার মস্তকের সন্ধান পায়নি পুলিশ। নিহতের লাশের টুকরোগুলো রাস্তায় ব্যাগের ভেতরে পড়েছিল।
পুলিশের ধারণা পূর্ব শত্রুতার জেওে ঘাতকেরা ওই যুবককে হত্যার পর দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে কোথাও ফেলে দিয়েছে। আর গলা থেকে কোমড় পর্যন্ত এবং কোমড় থেকে পা পর্যন্ত অংশ মোট তিনটি টুকরো করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকার এই হত্যাতান্ডের পর নিহতের লাশ কোথায় থেকে এনে উক্ত এলাকায় ফেলা হয়েছে, তার সন্ধানে গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছেন।
বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, গত সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে বিমানবন্দর থানাধীন হাজী ক্যাম্পের উত্তর পাশে ঈশান কলোনী রাস্তায় একটি স্কুল ব্যাগ পড়ে পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা তা দেখে থানায় সংবাদ দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ব্যাগটি উদ্ধারের তা খুললে এক ব্যক্তির লাশের টুকরো অংশ দেখা যায়। লাশের টুকরো অংশটি স্কুল ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে পাতলা কম্বলে মোড়ানো ছিল। উদ্ধারকৃত লাশটি ২৫ বা ২৬ বছরের কোন যুবকের হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছেন। লাশটি শরীরের কোমর থেকে গলা পর্যন্ত ছিল। তবে মাথা ও কোমরের নিচের অংশটি ছিল না।
অপরদিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা পুলিশ পৃথক জায়গা থেকে একটি লাশের কোমড় থেকে পা পর্যন্ত টুকো উদ্ধার করেছে। আর বিমানবন্দর থানায় উদ্ধারকৃত লাশের সঙ্গ হাত থানায় পুলিশ হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। আর ওই ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমেই তার প্রকতৃ পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আর সিআইডির টিমও তার হাতের ছাপ নিয়েছে। আর চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের খুঁজতে এলাকার সিসি টিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানায়, দক্ষিণখান থানা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা রোডে একটি বস্তা পড়ে থাকায় স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তির কোমরের নিচের অংশ ও দুটি পা উদ্ধার করে। তার কিছুক্ষণ পরই বিমানবন্দর থানা পুলিশ লাশের মস্তক ছাড়া বাকি অংশ উদ্ধার করে।
এসংবাদ পেয়ে দক্ষিণখান এলাকার হুজাইবা নামে এক ব্যক্তি উদ্ধারকৃত দ্বিখন্ডিত লাশটি তার বড় ভাই হেলাল উদ্দিনের বলে দাবি করেন। হেলাল উদ্দিন দক্ষিণখান এলাকায় বিকাশ ও ফ্লাক্সিলোডের ব্যবসা করতেন। আর দক্ষিণখানের একটি মেসে ভাড়া থাকতেন। তাদের বাড়ি বরিশালের পিরোজপুর এলাকায়।


বিজ্ঞাপন