করোনাভাইরাসে আরও ২৯ জনের মৃত্যু

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন সারাদেশ স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট এক হাজার ৯৯৭ জন মারা গেলেন। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ২৮৮ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে। শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৮৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২২৮ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৯ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৯৯৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৩৭ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ হাজার ৭২১ জনে।
গত শুক্রবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ হাজার ৬৫০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১১৪ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
শনিবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরা হয়। বিশেষত মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিভিন্ন করণীয় তুলে ধরেন ডা. নাসিমা।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়।
ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। এছাড়া মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ক্রমেই বাড়ছে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব।


বিজ্ঞাপন