বিমানবন্দরে মাস্ক চুরি : জড়িত বিমান কাস্টমসের ১০ কর্মকর্তা

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো গোডাউন থেকে তমা কনস্ট্রাকশনের আমদানি করা মাস্ক চুরির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ ও কাস্টমস হাউসের কমপক্ষে ১০কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ বিষয়ে রোববার বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে পুরো চুরির ঘটনাটি দেখা গেছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমাকে অবগত করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২ মে তমা কনস্ট্রাকশনকে তিন লাখ পিস এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ দেয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। তবে সংখ্যায় কম হওয়ায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
সেই চিঠিতে বলা হয়, তমা কনস্ট্রাকশনের এক লাখ ৮০০ পিসের একটি চালান সিএমএসডিতে গ্রহণ করার সময় দৈবচয়নের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের সময় প্রথম ২০টি কার্টনের মধ্যে ৫-৬টি কার্টনে ১-২টি বক্স কম পাওয়া যায়। এভাবে কার্টনে বক্স না থাকলে আনুপাতিক হারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাস্ক কম পাওয়া যাবে, যা অনভিপ্রেত ও চুক্তিশর্ত লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে নিজস্ব তদন্তে তমা কনস্ট্রাকশন বিমানবন্দর থেকেই মাস্ক চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানকে একটি চিঠি দেয় তমা কনস্ট্রাকশন। পরে বেবিচক চেয়ারম্যান একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সপ্তাহব্যাপী তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে কমিটি। প্রতিবেদনে উঠে আসে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের চুরির সঙ্গে জড়িতদের নামের তালিকা।


বিজ্ঞাপন