কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ/পচিশ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মধ্যরাতে সাংবাদিককে স্বপরিবারে বের করে বাসায় তালা লাগিয়ে দিল ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ জুন রাতে।
সাংবাদিক শেখ আনোয়ার দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন, বর্তমানে তিনি স্বদেশ বিচিত্রার স্টাফ রির্পোটার হিসেবে কর্মরত ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য। স্থানীয় ও মামলার সূত্রে জানা যায়, বংশানুক্রমিক তিন পুরুষ ধরে নবাবচর মৌজার সিএস ও এসএ খতিয়ান নং ৫৩, দাগ নং-১৬৩ যার রেকর্ডীয় মালিক সাংবাদিক আনোয়ারের দাদা মৃত. আব্দুল আলী। মাঠ জরীপের সময় দখলসূত্রে বসবাসকারি সাংবাদিক শেখ আনোয়ার পেশাগত কারণে উপস্থিত না থাকাতে পারায় তার নামে মাঠ জরিপ না হওয়ায় শেখ আনোয়ার রেকর্ড সংশোধন করার জন্য মহামান্য ৩য় সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন। মামলা নং-০৩/২০১৫ইং যা চলমান।
সরকারের সাধারণ ছুটি ও বৈশ্ব্যয়িক মহামারি করোনা ভাইরাসের দীর্ঘ লকডাউন সময়ে মানুষ যখন মরণ-বাঁচনের সন্ধিক্ষণে যমে-মানুষে টানাটানি, চারিদিকে যখন হাহাকার ঠিক তখনই এলাকার সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু অহিদুজ্জামান খান পিতা-আনোয়ারুল হক, কামরুজ্জামান পিতা-মৃত মনিরুজ্জামান, বশির সিকদার পিতা-মোফাজ্জ্বল সিকদার, ওয়ালিউল্লাহ্ পিতা-মৃত.আহমাদুল্লাহ্, সর্ব সাং পশ্চিম আশ্রাবাদ, থানা কামরাঙ্গীরচর, জেলা- ঢাকা। যাদের পেশাই হলো অপরের জমি জবর দখল করে কাগজপত্র তৈরী করে মোটা মূল্যে বিক্রি করা। এদের আড়ালে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। উল্লেখিত সংঘবদ্ধচক্র দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জমি আত্মসাৎ করার জন্য উঠেপরে লেগে আছে বলে জানান আনোয়ার। সাধারণ ছুটি ও বৈশ্ব্যয়িক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে প্রশাসনসহ দেশের সর্বস্তরে যখন নিরব ঠিক তখনই তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মৌখিক ও ফোনে জমিটুকুর দখল বিনা বাক্যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বলছে জমির দখল ছেড়ে কথা বলতে নইলে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা বা দুই কাঠা জমি দিতে হবে। নইলে বিভিন্ন রকমের মামলা-হামলাসহ প্রাণে মেরে ফেলবে। শুধু তাই নয় বউ-বাচ্চাসহ পরিবারের কেউ রেহাই পাবে না। তারা শেখ আনোয়ারকে সময় বেধে দিয়ে বলে প্রাণের মায়া থাকলে ভালই ভাল চলে যা। সে বলে, থানা-পুুলিশ, এমপি ও প্রশাসন আমার, সরকারে আমাদের লোক আছে আর তোমার এখনো সময় আছে, ভেবে দেখ।
সময় না যেতে না যেতেই গত মধ্যরাতে বিশ/পচিশ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাসার গেট ভেঙ্গে ভাংচুর করে প্রায় দুই লাখ টাকার আসবাবপত্রসহ নগদ ঘরে রক্ষিত ছেলেদের ব্যবসার দুই লাখ টাকা ও বৈদ্যুতিক তার কেটে মিটারটি নিয়ে যায়। যার নং-০২০৫২০০৩২১৮৪, হিসাব নং-৩১০৬৮৯৫৪, নাম-শেখ আনোয়ার।
শেখ আনোয়ার এর বৃদ্ধ মা যার বয়স ৯০/৯২ বছর ও তার স্ত্রীকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়, ছেলেদের মারপিট করে। প্রাণ-পণ তাদের বাধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলতে উদ্ধত হয়। উপায় না পেয়ে শেখ আনোয়ার প্রথমে থানায় ফোন করলে থানায় কেউ ফোন ধরেননি। তারপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে থানা থেকে মিলন নামে একজন দারোগা আসে। তিনি বলেন কাউন্সিলর যখন আপনাকে বের করে তালা দিয়েছেন এখন আমার করার কিছুই নাই। আপনারা ওসি স্যারের সাথে কথা বলুন। ওসি সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য ফোন করলে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। পরে সাংবাদিক শেখ আনোয়ার তার বউ, মা ও সন্তানদের নিয়ে এসি লালবাগ এর সাথে দেখা করলে তিনি পুলিশকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দিলেও থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো অপরপক্ষ মোহাম্মদ হোসেন এর প্রতিনিধি থেকে আনোয়ারের বিরুদ্ধে একটি চুরি মামলা নিয়ে রেড এলার্ট জারী করেছে। সাংবাদিক আনোয়ার এখন বাড়ী ছাড়া। করোনাকালে যেখানে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান করেছে সরকার সেখানে সাংবাদিক আনোয়ার তার বউ, মা ও সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। হায়রে নিয়তি!