মিটার না দেখে আর বিদ্যুৎ বিল নয়

অর্থনীতি

গণশুনানিতে ডেসকো

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে মিটার না দেখে আর বিদ্যুৎ বিল করা হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী। গ্রাহকদের সাম্প্রতিক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে গণশুনানি করে ডেসকো। সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াও অনলাইনের এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (ক্রয়) এ কে এম মোস্তফা কামালসহ ডেসকোর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গণশুনানিতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার গ্রাহক মাজদার হোসেন ডেসকো কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, কেন হঠাৎ করেই এত বিল এসেছে। সাংবাদিক শুক্কুর আলী শুভ অভিযোগ করেন, তার স্বাভাবিক বিল আসে মাসে গড়ে ৫০০ টাকা। গত মাসে তার বিল এসেছে তিন হাজার টাকা।
এই দুই গ্রাহকের প্রশ্ন ও অভিযোগের জবাবে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বলেন, ‘মার্চ মাসের বিলের সঙ্গে ২০% ইউনিট যোগ করে বিল দিয়েছিলাম। ফলে অনেকের বিল বেশি চলে এসেছে। অনেকে বাসায় ছিলেন না, তাদের বিল বেশি আসে। তাদের ক্ষেত্রে আমরা পরের মাসে বিল সমন্বয় করে দিয়েছি। এখনও যারা অভিযোগ নিয়ে আসছেন, আমরা সমাধান করছি।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যেসব গ্রাহক স্ল্যাব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করে স্ল্যাব সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
ডেসকোর অধীন গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কাওসার আমীর আলী বলেন, ‘অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে অন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর তুলনায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কম। এপ্রিল ও মে মাসে বেশিরভাগ বিল মিটার দেখে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে খুব অল্প পরিমাণ বিলের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিশেষ করে ৬০০ ইউনিটের ওপরের কোনও কোনও গ্রাহকের আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো দ্রুত সমাধান করা হয়েছে।’
দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অপরাধে এরইমধ্যে চার জন মিটার রিডারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাত জন মিটার রিডার এবং একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে শোকজ করা হয়েছে।’
এখন মিটার দেখে বিলে নেওয়ার কথা বলা হলেও ভবিষ্যতে বিলের এই সমস্যা দূর করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘বিলের এই ভোগান্তি নিরসনে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও দুই লাখ প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ডেসকোর সব গ্রাহক প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায় চলে আসবেন।’
প্রসঙ্গত, অনলাইন গণশুনানির এই আয়োজনটি ডেসকো এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে সরাসরি লাইভ প্রচার করা হয়।


বিজ্ঞাপন