নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩০৫৭ জন। মঙ্গলবার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। দেশের মোট ৮০টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ১৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৮৯৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৯টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৫৭ জনের দেহে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪১ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৭০৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৪১ জন। এতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত রোগী বিবেচনায় এ পর্যন্ত সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন, নারী ৭ জন। এরমধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার মধ্যে রয়েছেন দুজন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন করে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৫ জন করে এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন।
বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে করোনা গত ছয় মাসে বিশ্বের ২১৩ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।