গোদাগাড়ীতে মাদক ব্যবসা ও সেবনে বাধা দেওয়ায় ৪জনকে পিটিয়ে জখম

সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীর গোদাগাড়ী তে মাদক ব্যবসা ও সেবনে বাঁধা দেওয়ায় চারজন কে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ২৭/০৭/২০ তারিখে রবিউল ইসলাম পিতা আলহাজ্ব সাজ্জাদ আলী সাং দিয়াড় মোহাব্বতপুর,থানা গোদাগাড়ী। এর বাড়ির পাশে এসে মিলন পিতা টুটুল, মাসুদ মাহফুজ আলি, বাবু, সর্ব পিতা -মৃত মাসদার আলী, আজাদ পিতা মৃত হামেজ উদ্দিন, সাদ্দাম আলী সুজন উভয়ের পিতা আজাদ আলি, কালাম পিতা ইসলাম, রবিউল ইসলামের বাড়ির পাশে গিয়ে প্রতিনিয়ত মাদক (গাঁজা ও ফেন্সিডিল) সেবন করে। তাদের বাধা দিতে গেলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা এরই ধারাবাহিকতায় ২৮/০৭/২০ তারিখে বিকেল পাঁচটার সময় ডিয়ার মোহাব্বতপুর মোড়ে রবিউল ইসলামের ভাতিজা হ্যাপি, চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম বাবু আর এক চাচাতো ভাই মাসাদুল কে সাইকেলের চেইন লোহার রড বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়, মিলন,মাসুদ, মাহফুজ, বাবু,আজাদ,সাদ্দাম, সুজন, সহ প্রায় ৯/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজনকে ভর্তি করে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় আজাদ নামের একজন মাদকের গডফাদারের ভাতিজা মাসুদ আর মাসুদের ভাগিনা মিলন এরা প্রকাশ্যে মাদকের লেনদেন করলেও এলাকা বাসি অনেকেই দেখলেও তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাইনা বলেও জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন করোনা মহামারীতে থেমে নেই তাদের ওপেন মাদক সেবন ও বিক্রি এগুলো কি দেখার কেউ নেই! দিয়াড় মোহাব্বতপুর এলাকাটিকে হাতে গোনা কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদকের স্পটে রূপান্তরিত করে ফেলেছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমরা সবসময় ভয় ও আতঙ্কিত থাকি। মিলন এবং মাসুদের নামে একাধিক মাদক মামলা থাকলেও নির্দ্বিধায় তারা চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের ব্যবসা। এলাকা স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান মাহফুজ ২০১৯ এর জানুয়ারি মাসে গোদাগাড়ী থানা পুলিশের হাতে ফেন্সিডিল নিয়ে ধরা পড়ে তিনমাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আবার শুরু করে ফেন্সিডিলের কারবার,মিলন হিরোইন নিয়ে ধরা পড়ে এক বছর জেল খেট কিছু দিন আগে জামিনে বের হয়ে আবারো শুরু করেছে হিরোইন এর ব্যবসা, আজাদের নামেও রয়েছে একাধিক মাদক মামলা,রাজশাহী গোদাগাড়ীর কুখ‌্যাত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের ভাগ্নি জামাই মাসুদ এই দিয়াড় মহব্বতপুর এলাকায় মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত।
প্রসাশনের কাছে এলাকা বাসির জোর দাবি তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি বা বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় অফিসার ইনচার্জ এর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


বিজ্ঞাপন