করোনা আক্রান্ত হয়ে নবজাতক জন্ম

সারাদেশ স্বাস্থ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা এক নবজাতক জন্মগ্রহণ করেছেন।এই শিশুই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সবচেয়ে কমবয়সী করোনা আক্রান্ত রোগী। বর্তমানে মা ও নবজাতক মেডিক্যালের ১০০শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে মা-মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ।ওই নবজাতকের পিতা ফরহাদ মিয়া বলেন, জন্মের কয়েকদিন আগে (গত ২০ই আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের করোনা নমুনা রিপোর্টে পজিটিভ হয়। তার আগে আমার গর্ভবতী স্ত্রী রতœা বেগম (১৯) জ্বর ও শ্বাসকষ্টে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। শহরের সদর হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লিনিকে সিজারের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু আমার স্ত্রী করোনা পজিটিভ হওয়ায় কেউ সিজার করতে রাজি হয়নি। পরে রতœাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর পরেরদিন সিজারের মাধ্যমে আমার স্ত্রী একটি ছেলে শিশু জন্ম দেন।ওই গর্ভবতী মহিলা সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার খাঁ বাড়ির ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী।গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, ২৭ই আগস্ট দুপুরে করোনা পজিটিভ নিয়ে রতœা হাসপাতালে আসে। তারপর পরেরদিন স্বাস্থ্যবিধি গাইড লাইন মেনে ডা. আবু সাঈদ এর সহযোগিতায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এনেস্থিসিয়া ডা. মনতাজুল হক ও গাইনি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. কামরুন্নাহার শিখাকে সাথে নিয়ে গর্ভবতী মহিলার সিজার সম্পূণ হয়। গত ২৯ই আগস্ট নবজাতকের শরীরে করোনা পজিটিভ আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ বলেন, কোভিড আক্রান্ত মায়ের সিজার ছিল আমাদের চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, করোনার প্রথম থেকেই আমাদের হাসপাতালে সিজার করে যাচ্ছি। কিন্তু প্রসূতি করোনা পজিটিভ হওয়ায় একটু ভয় লেগেছে। সবাইকে একটু টেনশন নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। অনেক সতর্ক থাকতে হয়েছে। প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। তবুও করতে তো হবেই। এটাতো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। সব প্রস্তুতি ও প্রটেকশন নিয়েই সিজার করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। মা ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ আছে।আজ দুপুরে রতœা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও নবজাতকের রিপোর্ট পজিটিভই আছে। ওই মহিলাসহ নবজাতক শিশুকে ছুটি দিয়েছি, কিন্তু গর্ভবতী মহিলা ও নবজাতক শিশু, চিকিৎসকসহ নার্সকে আরোও ৭দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন