ভুয়া বিল ভাওচার করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক আশরাফুন ন্নেসা কোটি টাকা আত্মসাৎ

অপরাধ আইন ও আদালত স্বাস্থ্য

আজকের দেশ রিপোর্ট : অর্থ লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।


বিজ্ঞাপন

এর আগে ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (পিএম) জাকিয়া আখতার, উপ-পরিচালক (স্থানীয় সংগ্রহ) আবু তাহের মো. সানাউল্লাহ নূরী, সহকারী পরিচালক এ কে এম রোকনুজ্জামান ও গবেষণা কর্মকর্তা পীযূষ কান্তি দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর তাদের তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট সারা দেশে ৪৮৬ টি ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করে। এতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ভাতা ও যাতায়াত বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সই জাল করে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়। অধিদপ্তরের ‘আইইএম ইউনিট’র খাতে বরাদ্দ ছিল (২০১৯ সালে ) ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এসব টাকা কোনো কাজ না করেই অগ্রণী ব্যাংক, ওয়াসা ভবন শাখা হতে তোলা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৯টি কোটেশনের বিল দেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই বছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছার ভাগ্নের মালিকানাধীন রূহী এন্টারপ্রাইজ কোনো কাজ না করে ৮৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করে। অন্যদিকে কাজ না করেই তার আপন চাচাত ভাইয়ের মালিকানাধীন সুকর্ন এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। রূহী এন্টারপ্রাইজ ও সুকর্ন এন্টারপ্রাইজের নামে বরাদ্দ ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা উত্তরা ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার মাধ্যমে তোলা হয়েছে।