নিজস্ব প্রতিবেদক : যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট আবারো আলোচনায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ২২৭ কোটি টাকা পাচার করেছে এই ক্যাসিনো গডফাদার। তবে এর মধ্যে অধিকাংশ অর্থই খরচ হয়ে গেছে। বাকি অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রোববার রাতে দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পরপরই পালিয়ে যান যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট। তার বিরুদ্ধে তখন একাধিক মামলা হয়। অবৈধ অর্থ আয়ের অভিযোগ এনে দুদকের পক্ষ থেকেও একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এরপরই দুদকের কর্তকর্তারা সম্রাটের বিদেশে পাচার করা অর্থের সন্ধানে নামে।
অনুসন্ধানে একের পর এক আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, গত ৯ বছরে সম্রাট সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন ৩ কোটি ৬৫ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার, বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ২২৬ কোটি ৩০ লাখ। এছাড়া মালয়েশিয়ার পাচার করেছে ৪০ লাখ টাকা। খোঁজ পাওয়া এই ২২৭ কোটি টাকার বাইরে বিদেশে সম্রাটের আরো সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা দুদকের।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বিপুল পরিমাণ এই অর্থের অধিকাংশই খরচ করে ফেলেছেন সম্রাট। সিংহভাগ খরচ করেছেন সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর মেরিনা বে-স্যান্ডস ক্যাসিনোতে। যেটুকু এখনো বাকি আছে, সেটুকু ফেরত আনতে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠাবে দুর্নীতি দমন কমিশন।