পরিবেশের ব্যালেন্স রক্ষা করে কুকুর

রাজধানী

ডিএনসিসির ভিন্ন উদ্যোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুকুর অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নিয়েছে ভিন্ন উদ্যোগ। সংস্থাটি কুকুর নিধন বা অপসারণ না করে বন্ধ্যাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ‘অভয়ারণ্য’ নামে একটি এনজিও’র সঙ্গে পূর্বের করা চুক্তি নতুন করে নবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ডিএসসিসি তার আওতাধীন এলাকা থেকে কুকুর অপসারণ করছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এরইমধ্যে কয়েকশ’ কুকুরকে করপোরেশনের মাতুয়াইল এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তার আগে গত ৩০ জুলাই দক্ষিণ সিটির বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে সংস্থার মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, ‘ঢাকাবাসীর অভিপ্রায় অনুযায়ী, বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
৩০ হাজার কুকুরকে শহরের বাইরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, প্রাণী কল্যাণ আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন ব্যতীত প্রাণী অপসারণ অপরাধ। সিটি করপোরেশনের যে মৌলিক কার্যাবলি আছে, সেখানে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর তৃতীয় তফসিলের ১৫.৩, ১৫.৪, ১৫.৫ ও ১৫.১০ এবং পঞ্চম তাফসিলের ৫১ ধারা ও সপ্তম তফসিলের ১৮ ধারা অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন যদি মনে করে কোনও বেওয়ারিশ কুকুর অথবা কোনও বেওয়ারিশ প্রাণীকে অপসারণ করতে পারে, এমনকি নিধনও করতে পারে। আমরা নিধন করছি না, অপসারণ করছি।
এ সম্পর্কে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মহাখালীতে যে মার্কেট রয়েছে, সেখানে কুকুরের জন্য আমরা একটা হাসপাতাল করেছি। আমি নিজেও করোনার সময় বিভিন্ন স্থানে কুকুরকে খাবার দিয়েছি। আমি এখনও তাদের জন্য খাবার পাঠাচ্ছি। আমরা মনে করি, কুকুরকে স্থানান্তর করলে সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের ২০১৯ সালের আইনে কুকুর বা বন্যপ্রাণীকে কীভাবে দেখতে হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কুকুর আমাদের অনেকের বাসাবাড়ি ও রাস্তার সামনে থাকে। এটা কিন্তু পরিবেশের ব্যালেন্স রক্ষা করে। ইঁদুরসহ ক্ষতিকর অনেক প্রাণী মেরে ফেলে। অনেক অপরিষ্কার জায়গাকে পরিষ্কার করে। আবার অপরিষ্কারও করে। আমি যেটা মনে করি, কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ করতে হবে। তাদেরকে জলাতঙ্কের ইনজেকশন দিতে হবে। আমাদের ‘অভয়ারণ্যে’ সঙ্গে যে চুক্তি ছিল সেটার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে আমরা আবারও চুক্তিতে যাচ্ছি।
তিনি নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কোনও কুকুর নিধন হবে না। এই তথ্য কিন্তু আমি সবাইকে দিচ্ছি। আমার মেসেজ খুবই স্পষ্ট আমাদের উত্তর সিটিতে কোনও ধরনের কুকুর উচ্ছেদ বা অপসারণ বা ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে না। যদি কোনও নাগরিক তা করে, তাহলে আমরা ২০১৯-এর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।


বিজ্ঞাপন