ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক হয়, ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধাবমান এগিয়ে যাচ্ছে, তারা এখনও আবার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের এ অগ্রগতিকে থমকে দিতে চায় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের বৈঠক হয়, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক শাবান মাহমুদ গ্রন্থিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, শুধু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতিপক্ষ, দেশের প্রতিপক্ষ তারা তাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সেজন্যই মধ্যপ্রাচ্যে গোপন বৈঠক হয়, সেখানে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের বৈঠক হয়, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
‘দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধাবমান এগিয়ে যাচ্ছে, এ অগ্রগতির চাকাকে যারা দুর্নীতি আর দুঃশাসনের মাধ্যমে ঘূর্ণায়মান চাকাতে পরিণত করেছিল, তারা এখনও আবার ষযড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের এ অগ্রগতিকে থমকে দিতে চায়। সেজন্য ষড়যন্ত্র থেমে নেই। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আজকেও দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়ার নানা ষড়যন্ত্র আছে। এগুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। ’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার জন্মের সময় বাবা ছিলেন না। বেড়ে ওঠার সময় বাবা বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত ছিলেন। বাবাতো বেশির ভাগ সময় জেলখানাতে থাকতেন। বিয়ের সময়ও বাবা জেলখানায়।
‘তার পুরো জীবনটা সংগ্রামের জীবন। আজও তিনি সংগ্রামের মধ্যেই। অনেকে মনে করেন তিনি প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই। সারাক্ষণ দেশ, দল- এগুলো নিয়ে ভাবতে হয়, কাজ করতে হয় এবং সারাক্ষণ নানা সমস্যা সামাল দিতে হয়। এখনও সংগ্রামের মধ্যে প্রতিনিয়ত। ’
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে তার ৪০ বছর পূর্ণ হবে। প্রায় ৪০ বছরের পথচলায় আমরা কে, কতটুকু শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকতে পেরেছি জানি না। কিন্তু শেখ হাসিনা ঝড়, বৃষ্টি, আঁধার রাতে সমস্ত ঝঞ্ঝা, সংকটে, সংগ্রামে বাঙালি জাতির পাশে ও সঙ্গে থেকেছেন। তাকে ১৯ বার হত্যা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বার বার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে তিনি কখনো বিচলিত ও দ্বিধান্বিত হননি, আরও প্রত্যয়ী হয়ে বাংলাদেশে মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে। এখন কিন্তু গ্রামে শহরের অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। গ্রামের ছেলে আর শহরের ছেলের মধ্যে পার্থক্য যদি ১০ বছর আগে দেখা যেত এখন সেটি আর বোঝা যায় না। গ্রামে এখন আর কুঁড়েঘর নেই, বাংলাদেশে এখন আর খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর চেনা যায় না। ১০-১২ বছর আগে যে বিদেশ গেছে সে এসে দেশ, শহর, গ্রাম চিনতে পারে না, এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, এখানেই শেখ হাসিনার সাফল্য। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, সাংবাদিক শাবান মাহমুদ বক্তব্য দেন।


বিজ্ঞাপন