আর কোনো ফুটপাত কেউ দখলে নিতে পারবে না: মেয়র আতিকুল

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ফুটপাত দখল ও অবৈধ পার্কিং প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পছন্দ করতেন না। ঢাকা শহরের আর কোনো ফুটপাত কেউ দখল করে রাখতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নেয়া দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরায় ৭৪টি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে ‘পরম্পরা কানন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উত্তরা সোনারগাঁ জনপথ রোডের জমজম টাওয়ার এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সারাটা জীবন লাল-সবুজের পতাকার জন্য সংগ্রাম করে দেশকে স্বাধীন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ সময় জেল খেটেছেন তিনি। তারই বদৌলতে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা কি বঙ্গবন্ধুর মতো করে এই শহরটাকে, এই দেশকে ভালোবাসি? আমরা যদি এই শহরটাকে বঙ্গবন্ধুর মতো করে ভালবাসতাম, তাহলে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করতাম না। আমরা যদি ভালোবাসতাম, তাহলে রাস্তার উপরে যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে যেতাম না, অবৈধভাবে রাস্তার উপরে তার ঝুলিয়ে রাখতাম না, পথচারী যেন কষ্ট না পায় সেজন্য রড-সিমেন্টের বস্তা রাস্তায় ফেলে রাখতাম না। টাকা খরচ করে ফুটপাতে নিজের ছবি টাঙিয়ে রাখতাম না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে ফুটপাতে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করেছে। আবার এমন ঘটেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে, শেখ রাসেলের নাম দিয়েও স্কুল করে রাস্তা দখল করেছে। এসব আপনারা করবেন না, প্রধানমন্ত্রী এগুলো পছন্দ করেন না, বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউই এসব পছন্দ করেন না। বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো, এই ধরনের স্কুল আপনারা নিজের জমিতে গিয়ে করুন, জনগণের রাস্তা দখল করে এসব চলবে না।
মেয়র বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটিনি। তবে ৭৪ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর সন্তানদের দিয়ে এই ছবি অঙ্কন করিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলরদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ডেঙ্গু মোকাবিলায় করবো। এবার ডেঙ্গুতে একজনও মারা যায়নি। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছি।
মেয়র বলেন, রাজধানীতে দশটি ইউলুপের কাজ শুরু করেছি। উত্তরা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এই দশটি ইউলুপের কাজ এ বছরেই শেষ করব। ২০২১ সালের মধ্যে এই নগরবাসীকে যানজটমুক্ত নগরী উপহার দেব। সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার জন্য আমি আজকের অনুষ্ঠানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিএমইএ’কে দাওয়াত করেছি। প্রত্যেককে আমি গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছি। আমরা সাতাশটি পার্ক করতে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা যেই পার্কেই যাই সেখানেই মামলা। কারণ পার্কের মধ্যে কারো দাদার বাড়ি অথবা কারো রাজনৈতিক সম্পত্তি রয়েছে। আমি বলতে চাই, যে পার্কগুলোর কাজ আমরা হাতে নিয়েছি আগামী ৩ অক্টোবর যার যা নানার বাড়ির দাদার বাড়ি রাজনৈতিক অফিস আছে, সেগুলো আমি উচ্ছেদ করে দেব। এই পার্ক জনগণের এই পার্ক আগামী প্রজন্মের, কারো নিজস্ব সম্পত্তি না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।


বিজ্ঞাপন