নিজস্ব প্রতিবেদক : বাস রুট পুনর্বিন্যাস নিয়ে আবারও নড়েচড়ে বসেছে নগর কর্তৃপক্ষ। অবহেলায় থাকা এই প্রকল্পের ফাইল আগামী ৬ অক্টোবর আবারও খুলবেন দুই মেয়র। শুধু তাই নয়, রাজপথে চলা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছেন তারা। করোনার এই বদলে যাওয়া সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে দুই নগরপিতা, তাদের পরিকল্পনা জানিয়েছেন সময় সংবাদে। বিস্তারিত তুলে ধরছেন রাশেদ লিমন।
করোনাকালে জীবনযাপনের সবকিছুই যেমন বদলে গেছে তেমন বদল এসেছে রাজধানীর চিত্রেও। ধীরে ধীরে নিউ নরমাল পরিস্থিতিও নরমাল বনে যাচ্ছে। নগরে বেড়েছে গতি, বাড়ছে ভিড়, বাড়ছে গাড়ির চাপ। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে নগর কর্তৃপক্ষ। তাই সবার আগে দীর্ঘদিনের ধুলা জমা বাসরুট পুনর্বিন্যাসের ফাইলে হাত দিয়েছেন দুই নগরকর্তা। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের চার রঙের বাস নামানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উত্তর-দক্ষিণ এক হয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসছেন জট খুলতে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, যে যানবাহন কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়ে তারা বসতে যাচ্ছেন। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা পর্যালোচনা করে একটি বাস্তবভিত্তিক সমাধানের পথ বের করাই তাদের লক্ষ্য।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, বাস মালিক, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলা, এগুলো কিন্তু বিরাট চ্যালেঞ্জ। সড়কের সব দিকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা-নিয়েই কাজ চলছে। এটা অবশ্যই সমন্বিত প্রচেষ্টায় করতে হবে।
তবে শুধু বাসই কি মূল সংকট। এই রাজপথে চলে রিকশা, সিএনজি, হিউম্যান হলার, মোটরসাইকেল, বাস-মিনিবাস সবাই মিলেই একসঙ্গে শাসন করে রাজপথ। ফলাফল যা হওয়ার তাই; আর এই নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর হওয়ার কথা জানালেন দুই নগরপিতা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা এমন একটি ঢাকা চাই, যেখানে সড়কে স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটে চলাচল করা যায়। আর উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে আমরা ৬ মাস পিছিয়ে গেছি। কিন্তু আমার বিশ্বাস সবার সহযোগিতায় আমরা দ্রুতই যানজট ও জলজটমুক্ত সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলতে পারব।
যানজট নিরসনে কম হয়নি পরিকল্পনা। নগরবাসীও শুনে আসছে নানা আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি। তবু বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সড়কে যান চলাচলে অব্যবস্থাপনা বাগে আনতে দুই মেয়র কতোটা সফল হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই রাজপথে চলছেন নগরবাসী।