সত্যকে ঢাকতে তোড়জোঁর চেষ্টা
মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল: নড়াইলের এক সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে জোঁরপূর্বক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে চেক নেওয়াকে কেন্দ্র করে পাল্টা পাল্টি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই পক্ষ।
নড়াইলে শিক্ষকের কাছ থেকে গত (১০সেপ্টেম্বর) জোঁরপূর্বক ১১লাখ টাকার চেক নেওয়ার ঘটনাকে মিথ্যা উল্লেখ করে, অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রোববার (৪অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,অভিযুক্ত শহরের দক্ষিণ নড়াইল এলাকার নজরুল ইসলাম ও স্বজন”রা।
নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান,দৈনিক বিডি খবর পত্রিকার সম্পাদকের সাথে বালির ব্যাবসার জন্য ১১লাখ টাকা সর্তসাপেক্ষে কল্যাণ বিশ্বাস সহ কয়েক জনের সামনে দেয়া হয়।
এ টাকা নেওয়ার বিষয়টি লিটন দত্তের চাচাতো শ্যালক কল্যাণ বিশ্বাস এবং লিটনের দ্বিতীয় স্ত্রী সঞ্চিতা জানতো এবং তাদের জামিনে এটাকা দেয়া হয়েছে।
লিটন দত্ত পালিয়ে যাওয়ায় জামিন থাকা কল্যাণের কাছ থেকে লিটনকে হাজির করে দেওয়ার শর্তে সমঝোতার ভিত্তিতে ১১লাখ টাকা চেক নেওয়া হয়েছে এবং কল্যাণ বিশ্বাস নিজে আমাদের এ চেক দিয়েছেন।
দৈনিক বিডি খবর পত্রিকার সম্পাদক লিটন দত্তের শ্যালক কল্যাণ নিজে আমাকে ১১লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।
এ সময় কল্যাণকে মারধর বা জীবঁন নাশের হুমকি দেওয়া হয়নি এটা ধর্মিও উস্কানিমুলক প্রচারনা চালানো হচ্ছে বলেও জানান এবং আমি কল্যাণের থেকে নেয়া চেক মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়াম্যানের নিকট হস্তান্ত্রর করি এবং এসব প্রতারনার বিচার করতে আহব্বান করে চেকটি তার কাছে রেখে আসি।
আমি যদি জোঁর করেনচেক নেই তাহলে কেন আমি চেয়ারম্যানের নিকট চেক দিব বলেও সাংবাদিদের জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় সমাজ সেবক কবির হোসেন খান,আব্দুর রশিদ মন্নু,তোফায়েল আহম্মেদ,মুলিয়া ইউনিয়নের মেম্বর গনেশ বিশ্বাস প্রমূখ।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিটন দত্তের চাচাতো শ্যালক মুলিয়া গ্রামের কল্যাণ দাস বলেন,নজরুল ইসলামকে কোনো টাকা দেওয়ার বিষয়টি আমার স্ত্রী ও আমি কিছুই জানি না।
লিটনের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
আমরা সবাই লিটন দত্তের কৃতকর্মের উপযুক্ত বিচার চাই।
বিষয়টি এখন ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য নজরুল ও সন্ত্রাসী সাধঁন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলচ্ছে এ সংবাদ সম্মেলনে।
কল্যান আরও বলেন,আমি নিজেই লিটন দত্ত ও চাচাতো বোন সঞ্চিতার কাছে ৮০ হাজার টাকা পাবো এ বিষয়ে বিডি খবর পত্রিকার অনেক সাংবাদিকই জানে।
উপরোন্ত গত (১০সেপ্টেম্বর) নজরুল ইসলাম সহ সাথে থাকা সন্ত্রাসী সাধঁন আমাকে মারধোর করে পিস্তল ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ১১লাখ টাকার চেক সই করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়।
পরে আমি আইন কে সন্মান দেখিয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে মানববন্ধন সহ সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারীত সবাই কে জানায়।
এদিকে সাধঁন নামের ব্যক্তি লিটন দত্তের কাছে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা পাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান এবং তার নিকট লিটন দত্তের চেক রয়েছে বলে দাবি করেন।
২-৩ মাস আগেও সাধঁন ভবঘুরে বলে জানেন নড়াইল বাসি,কি ভাবে সে এত টাকা লিটন দত্তের কাছে পাবে বলে অভিযোগ করছে লিটন দত্ত পালিয়ে যাওয়ার পরে,কেন লিটন দত্ত থাকা অবস্থায় নড়াইল জেলা পুলিশ কে জানাননি সাধঁন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাহলে কি লিটন দত্তের পালানোর কারনে এমন অভিযোগ উঠিয়ে টাকা আদায়ের নকশা করেছে ভবঘুরে সাধঁন।
নড়াইল শহরের একাধীক ব্যক্তি জানান,নড়াইল শহরের আতংকিত সন্ত্রাসী সাধঁনের খুটির জোঁর কোথায়,নড়াইল শহর সহ বিভিন্ন জায়গায় নিজের কাছে থাকা রিবলবর দিয়ে সবাইকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ নড়াইলের বিভিন্ন ইউনিয়নে সন্ত্রাসীপঁনা করে বেড়ায় সাধঁন।
সাধঁন কিভাবে শহরে জনসম্মুখে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে, এই নিয়ে জনসাধারণের মদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে।
সাধঁন কিভাবে বালির ব্যবসা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা ইন্বেষ্ট করলো সেই বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে নড়াইল বাসির।
সাধঁনের পরিবার কি সাধন কে লাখ লাখ টাকা দিয়ে বালির ব্যবসা করিয়েছে।
এই নিয়ে নাম পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তী সাধঁনের প্রতিবেশি জানান,সাধঁন নিজে একজন টাউট প্রকৃত মানুষ,নিজে কে পরিচয় করান,বড় বড় নেতার পরিচয় দিয়ে,এই সুবাদে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকরির জন্য মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরে কোন চাকরি দিতে পারে নি বলে অনেক বার চাকরী প্রতাশীদের হাতে মার খেয়েছে।
এজন্য গ্রামের মানুষ সাধঁন কে টাউট বাটপার বলেই সবাই চেনেন।
সাধঁন নিজে হিন্দু হয়ে,মুসলিম পরিবারের মেয়েকে বিবাহ করে নিজে হিন্দুসম্পদায় থেকে মুসলিম হয়েছে এবং ওয়াকার্স পার্টির সদস্য থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন আওয়ামী-লিগের নাম ভাঙ্গীয়ে সন্ত্রাসীপঁনা করে বেড়াচ্ছে প্রশাষনের চোঁখ ফাকি দিয়ে।
সাধঁন নিজেকে আওয়ামী-লিগের কর্মি বলে সব জায়গায় পরিচয় দেয় কিন্তু সে আওয়ামী-লিগের কোন অঙ্গসংগঠন সদস্য নন।
জানা গেছে,নড়াইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিডি খবর নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক লিটন দত্ত অবৈধভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং পাথর ও বালুর ব্যবসার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে গত (৯সেপ্টেম্বর)থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছেন।