আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই লাইফ সাপোর্টে

জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি এখন লাইফ সাপোর্টে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি কাগজে দেখলাম বিএনপির গয়েশ্বর বাবু বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি লাইফ সাপোর্টে, আসলে বিএনপি এখন লাইফ সাপোর্টে। কারণ বিএনপির যে পরিস্থিতি নেতাদের ওপর কর্মীদের আস্থা নেই, সবমিলিয়ে বিএনপি নিজেই এখন লাইফ সাপোর্টে।
তিনি বলেন, বিএনপি আজকের দিনটিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। প্রকৃতপক্ষে আজকের দিনটি হচ্ছে সৈনিক হত্যা দিবস। এই দিনে বহু অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। এদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারকে হত্যা করা হয়েছিল। যে কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেছিলেন পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিনটি হচ্ছে একটি কালো দিন এবং আজকের দিনটি হচ্ছে সৈনিক হত্যা দিবস, অফিসার হত্যা দিবস।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আজকের এই কালো দিনটিকে তারা যেভাবে পালন করে এতেই প্রমাণিত যে, হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির অভ্যুদয় এবং জিয়াউর রহমান আজকের এই দিনে প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি নিজে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক না হয়ে বিচারপতি সায়েমকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছেন। প্রকৃত ক্ষমতা তার হাতে ছিল। আজকের এই দিনে বহু মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক অফিসারের রক্তের ওপর দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তার ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করার জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের হত্যা অব্যাহত রেখেছিলেন। বাংলাদেশে দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে রেখেছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল বিএনপি অগণতান্ত্রিকভাবে। সেনা ছাউনিতে তাদের জন্ম। বহু সৈনিকের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টদের নিয়ে দল গঠন করেছিলেন। আজকে যারা আমাদের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলেন, তারা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে নেতা। বিএনপির জন্মটাই অগণতান্ত্রিক। তারা গত ১২ বছর ধরে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য অনেক কিছু করেছেন।


বিজ্ঞাপন