মিথ্যা বলায় মির্জা ফখরুল প্রথম পুরস্কার পেতেন : তথ্যমন্ত্রী

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিথ্যা কথা বলার ক্ষেত্রে কোনো পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম পুরস্কার পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রোববার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলক কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন করোনাভাইরাস নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত তখন দেখতে পেলাম গত বৃহস্পতিবার বিএনপি আবার সেই পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। তারা বাস পোড়ানো অর্থাৎ মানুষ পোড়ানোর পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। যেটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। নিন্দনীয় এবং তাদের এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছি। নিজেরাই বাস পুড়িয়েছে আবার এটার জন্য নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা অত্যন্ত হাস্যকর। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ভিডিও ফুটেজ দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বিএনপির সাথে যুক্ত।’
‘আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখেছেন নিতাই রায় চৌধুরীর সাথে তাদের দলের নেত্রী ফরিদা বেগমের কথোপকথন। তিনি বলছেন, যুবদলের ছেলেরা বাসে আগুন দিয়েছেন। প্রথম বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাটিও কিন্তু নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে একটি সরকারি বাসে।’
এই অপরাজনীতি যারা করে তারা কখনও জনগণের রাজনৈতিক দল হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি কানাডার আদালতে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী দলের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে কিনা, আজকে সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব- আপনারা অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। এই অপরাজনীতির কারণে আপনারা যোজন যোজন দূরে চলে গেছেন। আপনারা যদি অপরাজনীতি অব্যাহত রাখেন তাহলে আপনারাই আপনাদের নিঃশেষ করে দেবেন, অন্য কারও প্রয়োজন নেই। এই অপরাজনীতি করে আবার শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা, আপনারা সন্ত্রাসী দলের পাশাপাশি প্রচণ্ড একটি মিথ্যাবাদী দলেও রূপান্তরিত হয়েছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাই কীভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে যান। মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে যদি কোনো পুরস্কার থাকত দুনিয়াতে, এক্ষেত্রে মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রথম পুরস্কার পেতেন। মিথ্যা কথা বললে আয়ু কমে যায়, এটি আলেমওলামারা বলেন। মির্জা ফখরুর ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলব অপরাজনীতি ও ক্রমাগত মিথ্যা বলার রাজনীতি থেকে দয়া করে বের হয়ে আসুন।’


বিজ্ঞাপন