নিজস্ব প্রতিনিধি : বৃহষ্পতিবার ওজন ও পরিমাপে কারচুপির অপরাধে ‘‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮’’ অনুযায়ী ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসন। ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা এবং কিশোরগঞ্জ জেলার সদর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ঢাকা মহানগরীতে সার্ভিল্যান্স টীমের মাধ্যমে এ মামলা ও জরিমানা করা হয়।
ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা এলাকার মেসার্স রাফসান বিল্ডার্স (রড সিমেন্টের দোকান) ২২০০ কেজি ধারণক্ষমতার ১টি ডিজিটাল প্লাটফর্ম স্কেলে প্রতি ১০০ কেজিতে ৪০০ গ্রাম এবং মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ (রড সিমেন্টের দোকান) ১২০০ কেজি ধারণক্ষমতার ০২টি প্লাটফর্ম স্কেলে প্রতি ১০০ কেজিতে ৬০০ ও ৫০০ গ্রাম করে কম প্রদান করায় প্রতিষ্ঠান ২টিকে ৫০ হাজার করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই দিনে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিএসটিআই’র যৌথ উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর এলাকায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে মেসার্স রাজমনি মিষ্টান্ন ভান্ডার দই পণ্যের পাতিলে ঘোষিত ওজন ৫০০ গ্রাম এর মধ্যে ১০০ গ্রাম কম পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা, মেসার্স মদন গোপাল সুইটস কেবিন দই পণ্যের পাতিলে ঘোষিত ওজন ১ কেজি ৫০০ গ্রাম এর মধ্যে ১৫০ কম পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা, মেসার্স গৌর গোবিন্দ সুইট এর দই পণ্যের পাতিলে ঘোষিত ওজন ১ কেজি ৫০০ গ্রাম এর মধ্যে ১০০ কম পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও কাপড়ের দোকানে অভিযান করে মেসার্স নারায়ন বন্ত্রালয় কাপড় পরিমাপে মিটারের পরিবর্তে নন স্ট্যান্ডার্ড একক গজকাঠি ব্যবহার করায় ১০ হাজার টাকা, মেসার্স বসাক বস্ত্রালয়কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার মেসার্স জয় বস্ত্রবিতান ভেরিফিকেশন সনদ বিহীন মিটার স্কেল ব্যবহার করায় ৫ হাজার টাকা এবং মেসার্স আধুনিক বস্ত্রালয়কে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইলেকট্রনিক্স দোকানের মধ্যে মেসার্স পলাশ ইলেকট্রনিক্স ক্যাবল পরিমাপে মিটারের পরিবর্তে নন স্ট্যান্ডার্ড গজকাঠি ব্যবহার করায় ১০ হাজার টাকা, মেসার্স দ্রুব ইলেকট্রনিক্স’কে ৫ হাজার টাকা এবং মেসার্স স্টার ভিডিও এন্ড ইলেকট্রনিক্স’কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও গত বুধবার ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা এলাকায় সার্ভিল্যান্স টীমের মাধ্যমে মেসার্স সেঞ্চুরী ফার্মস লি:’কে সেঞ্চুরী ব্রান্ডের লাচ্চা সেমাই পণ্যের মোড়কে স্থায়ীভাবে ওজন, মূল্য, উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
পৃথক ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১টিতে বিএসটিআই’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আমিমুল এহসান এর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন ও পরিদর্শক মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং অপর ১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: উবায়দুর রহমান সাহেল এর নেতৃত্বে বিএসটিআই’র পরিদর্শক মোঃ নাজমুস সায়াদত অংশগ্রহণ করেন।